ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পরিচিতি

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আবারো নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে Chapter #4 তে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পরিচিতি নিয়ে। তাহলে, চলুন আর সময় নষ্ট না করে মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি,

মার্কেটপ্লেস মূলত হচ্ছে একটি বাজারের মত । দৈনন্দিন জীবনে আমরা পণ্যের ক্রয় বিক্রয়ের জন্যে বাজারে গিয়ে থাকি । যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম ঘটে। এ বাজার সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্যে একটি বাজার পরিচালনা কমিটি থাকে। বিক্রেতাকে নির্দিষ্ট হারে কমিটিকে ফি দিতে হয়। এটি একটি অফলাইন মার্কেটপ্লেস। অনলাইনেও ঠিক একইভাবে মার্কেটপ্লেস পরিচালিত হয়।

পোস্ট সূচিপত্র:

অনলাইন মার্কেটপ্লেস

সহজ কথায় মার্কেটপ্লেস হল আপনার অনলাইন কর্মক্ষেত্র। যেখানে ক্লায়েন্টরা সার্ভিস নিতে আসে আর ফ্রিল্যান্সাররা সার্ভিস দিতে বা বিক্রি করতে আসে। অন্যভাবে বলতে গেলে অনলাইন মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আউটসোর্সার (যারা করিয়ে নেয়) ও ফ্রিল্যান্সারের (যারা কাজ করে দেয়) মিলনমেলা । এখানে মূলত তিনটা পক্ষ কাজ করে। এক পক্ষে ক্লায়েন্ট, মধ্য পক্ষ মার্কেটপ্লেস কর্তৃপক্ষ এবং অপর পক্ষ ফ্রিল্যান্সার বা সেলার। 

বায়ার ও সেলার উভয় পক্ষকে মার্কেটপ্লেসে রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্ট খুলতে হয়। একাউন্টে উভয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে একে অপরে জানতে পারে। মার্কেটপ্লেস কর্তৃপক্ষ বায়ার ও সেলার উভয়পক্ষ থেকে প্রতিটি সার্ভিসের জন্যে নির্দিষ্ট হারে সার্ভিস ফি নিয়ে থাকে। তবে একেক মার্কেটপ্লেসের ধরণ একেক রকম। প্রায় সব মার্কেটপ্লেসই কমন কিছু সার্ভিস দিয়ে থাকে। 

যেমন: Programming & Tech, Video & Animation, Digital Marketing, Search Engine Optimization, Database, Data Entry, Article & Blog Post, Translation, Graphic Design, Music & Audio, Writing & Translation, Virtual Assistance, Business Consulting ইত্যাদি । আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হল ফাইভার। ফাইভার ছাড়াও আরও অনেক মার্কেটপ্লেসরয়েছে। যেমন:-

আপওয়ার্ক পূর্বে 

www.odesk.comwww.elance.com নামে দুটি আলাদা সাইট ছিল। বর্তমানে সাইট দুটো এক হয়ে আপওয়ার্ক নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অন্যদিকে www.vworker.comwww.scriptlance.com সাইট দুটিও www.freelancer.com এর সাথে এক হয়ে www.freelancer.com নামে বর্তমানে কার্যক্রম চালাচ্ছে । মূলত আমাদের এই chapter: #4 এ ফাইভার মার্কেটপ্লেস ব্যাথিত অন্য কোনো মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। আমরা ফাইবার chapter শেষে অন্যান্য মার্কেটপ্লেস গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব সামনে।

আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত পুরাতন ফ্রিল্যান্সাদের ভিড়ে ফাইভারে আপনাদের নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সফল করানোর মূলমন্ত্রগুলো সহজ ভাষায় সহজ কথায় তুলে ধরা হয়েছে। শুধু ফাইভার না, যেকোনো  মার্কেটপ্লেসে সফল হতে হলে, কি কি প্রয়োজন তা পূর্বের অধ্যায়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সেগুলো মেনে কাজ করবেন। 

একই সাথে, এই আর্টিকেলে যুক্ত করা হয়েছে কার্যকরী সব ব্লু, ট্রিক্স এন্ড টিপস। সময়ের সাথে আমাদের চির চেনা ফাইভার মার্কেটপ্লেসের রুলস রেগুলেশনও আপডেট হয়েছে। পাল্টে গেছে অনেক নিয়ম নীতিও। তাই , আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ফাইভার মার্কেটপ্লেস

আমরা সকলেই জানি, ফাইভার একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখান থেকে বিভিন্ন রকমের ফ্রিল্যান্স সেবা প্রদান করা হয়। ২০১০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ইসরাইলের একটি কোম্পানি (ফাইভার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড) এটি প্রতিষ্ঠিত করে। যেটির সদর দপ্তর ইজরাইলে অবস্থিত। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন মিকা কাফম্যান এবং শাই উইঞ্জার।

শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি মাত্র পাঁচ ডলারে সেবা প্রদান করতো বলে প্রতিষ্ঠানটির নাম ফাইভার (Fiverr) রাখা হয়। তবে বর্তমানে অধিকাংশ সেলাররা পাঁচ ডলারে সার্ভিস দেয় না । 

ফাইভার মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয়তা এত বেশি কেন.

শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের কাছে ফাইভার একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। ফাইভার মার্কেটপ্লেস অন্য মার্কেটপ্লেস থেকে বেশ কিছু কারনে আলাদা। তার, প্রথম কারন হলো ফাইভার ইউজার ইন্টারফেস যা সহজে নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে বোধগম্য। ফাইভারে একজন নতুন সেলার খুব সহজে মার্কেটপ্লেসে নিজেকে বুস্টআপ করার লজিকগুলো ধরতে পারে, দ্রুত এবং খুব সহজে কাজ পায় এবং ফাইভার ম্যাকানিজম খুব সহজে বুঝে উঠতে পারায় 

নিজেকে প্রোমোট করার সূত্রগুলো সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। অন্য মার্কেটপ্লেস যেখানে সফল হতে অনেক সময় নেয়, সেখানে ফাইভারে খুবই অল্প সময়ে সফল হওয়া যায়। বলতে গেলে আপনি তিন চার মাসে লেভেল টু তে পৌঁছে যেতে পারবেন। এ দিক থেকে ফাইভার মার্কেটপ্লেস অন্য মার্কেটপ্লেস থেকে আলাদা এবং ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। 

তবে সম্প্রতি ফাইভার তাদের সেই জনপ্রিয়তা হারাতে বসেছে। তার কারন ফাইবারের আপডেট। আর এ সব আপডেট মূলত ক্লায়েন্টকে প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে। ভুক্তভোগী হয় সেলাররা। যার কারনে দেশের অনেক বড় বড় বড় সেলাররা এখন ফাইভার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। 

নতুনদের তো একাউন্ট খোলা করা থেকে গিগ পাবলিশ পর্যন্ত অনেক বেশি ভুগান্তি পোহাতে হচ্ছে বর্তমানে। এ জন্যে ফাইভার এখন আতঙ্ক, বিরক্তি ও টেনশনের অপর নাম। সবাই কম বেশি একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে যে, কখন কোন কারনে না জানি একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যায়।

ফাইভারে কাজের ধরণ

একজন মানুষের মাঝে যত রকমের মেধা বা প্রতিভা রয়েছে, এর প্রায় সবগুলোকে অনলাইনের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন আয় করা শতভাগ সম্ভব। ফাইভারে অনেক রকমের কাজ পাওয়া যায়। 

যেমন: Programming & Tech, Apps Development, Video & Animation, Digital Marketing, Search Engine Optimization, Database, Data Entry, Article & Blog Post, Translation, Graphic Design, Music & Audio, Writing & Translation, Virtual Assistance, Business Consulting ইত্যাদি। 

তবে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সাররা যে সেক্টরগুলোতে বেশি কাজ করে তা হল, Web design & development, Wordpress, Graphic Design, UI/UX design, Logo Design, Digital Marketing, Article & Blog Post ইত্যাদি। 

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো গণহারে কেবল মাত্র এসব বিষয়েই নতুন ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে মার্কেটপ্লেসে এসব সেক্টরে তুমুল প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে বছর পেরিয়ে গেলেও কোন কাজ বা অর্ডার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর আশা ছেড়ে দেয়। 

এজন্য আপনাকে কাজ শিখতে গেলে আগে থেকে জেনে নিতে হবে যে, কোন কাজ আপনার জন্য পারফেক্ট এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি আবার প্রতিযোগিতা কম । আমরা chapter :#1 ওও Chapter:#2 তে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ, কাজের পরিচিতি ও চাহিদার কথা বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আশা করি, তা পড়ে আপনি আপনার মত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

ফাইভার অ্যালগরিদম এবং গিগ

ফাইভার ইন্টারফেস খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি। যার কারণে এটি খুবই জনপ্রিয়। শুধুমাত্র মেন্টর বা সিনিয়র কারো কাছ থেকে ধারণা নিয়ে মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করলেই ফাইভার সিস্টেমটা সহজে বুঝা যায়। তবে গিগ তৈরি, গিগ সেল র‍্যাংকিং কিংবা অর্ডার পেতে অনেক নিয়ম নীতি জানা থাকতে হয়। যার জন্যে হয় আপনাকে দীর্ঘদিন মার্কেটপ্লেস রিচার্স করতে হবে, নয়তো মেন্টর বা সিনিয়র কারো সাপোর্ট নিতে হবে।

এবার জানব ফাইভার গিগ কি? একটি দোকানে বিক্রেতা তাঁর সকল প্রোডাক্টগুলো গ্যালারিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাজিয়ে রাখে। এতে করে কাস্টমার সহজে বুজে উঠতে পারে যে, ঐ দোকানে কি কি প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে। ঠিক একইভাবে ফাইভার মার্কেটপ্লেসেও আপনি আপনার সার্ভিসগুলো টাইটেল, ছবি, ভিডিও এবং ডেসক্রিপশনের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারবেন। যেগুলোকে গিগ বলা হয় । 

একজন বায়ার যখন তার কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তখন এই গিগ গুলো তার কাছে প্রদর্শিত হয়। সে গিগটি যদি তার, প্রাইজ এবং সার্ভিস দিয়ে ক্লাইন্টকে আকৃষ্ট করতে পারে, তবে ক্লাইন্ট ঐ গিগে অর্ডার প্লেস করে থাকে। আবার কাপড়ের দোকানে ইলেকট্রনিক কোন পণ্য পাওয়া যায় না। কারন কাপড়ের দোকানে শুধু কাপড়ই সেল হয়। একইভাবে ফাইভার মার্কেটপ্লেসেও সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সিস্টেম রয়েছে। 

যেমন: কেউ যদি গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড সার্ভিস দিয়ে থাকে তবে সেই সেলার চাইলেও তার একাউন্টে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কোন সার্ভিস দিতে পারবে না । একাউন্ট এবং সার্ভিস এ দুটোর মধ্যে যোগসূত্র না রেখে গিগ তৈরি করে সার্ভিস দিলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গিগ তৈরি করার সময় অবশ্যই সঠিক ক্যাটাগরি মেন্টেইন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন এর সাথে র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর জড়িত |

ফাইভার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সার্ভিস

মানুষের চিন্তাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে যান্ত্রিক উপায়ে বাস্তবায়ন করাকে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলে। বর্তমানে এর কর্মদক্ষতা ফ্রিল্যান্সার, প্রযুক্তিপ্রেমি কিংবা সাধারন মানুষসবাই অবাক করে দিয়েছে। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে বেশ নজরকাড়া কিছু পরিবর্তন এসেছে। 

অনেক নিয়মনীতি, টার্মস এন্ড কন্ডিশনের পরিবর্তন ও সংযোজন হয়েছে। তার মধ্যে বড় একটিFIVERR ARTIFICIAL 0 INTELLIGENCE সংযোজন হল ফাইভার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ ফাইভার বেশ কিছু সার্ভিস তার গ্রাহকদের কাছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দিয়ে থাকবে । মার্কেটপ্লেসগুলো এআই এর যোগদান নতুন পুরাতন ফ্রিল্যান্সাদের মধ্যে বেশ দুঃচিন্তার বিষয় হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন এর ফলে অর্ডার পাওয়ার চান্স একেবারেই কমে যাবে। ব্যাপারটা আসলে তেমন নয় । 

একই ধারনা তৈরি হয়েছিল যখন কম্পিউটার প্রথম বাজারে এসেছিল । তখন মনে করা হত, কম্পিউটারের মাধ্যমে মানুষ সকল কাজ করে ফেলবে যেহেতু এটি অনেক জটিল কাজের সমাধান দ্রুত ও নির্ভুলভাবে দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে উল্টো। বর্তমানে কম্পিউটার বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে লক্ষ লক্ষ বেকারকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। 

ঠিক তেমনি ভাবে, ফাইভার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফ্রিল্যান্সাদের জন্যে কোনরূপ প্রতিযোগী নয় বরং সহযোগী হয়ে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। তবে ভবিষ্যতে সকল সেক্টরে মানুষের দৈনন্দিন কাজের একটা বিশাল অংশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দখল করে বসবে একথা অনায়াসে স্বীকার করতেই হবে।| 

ফাইভারে কাজের সেক্টর নির্ধারণ

বর্তমানে যারা নতুন মার্কেটপ্লেসে জয়েন করছে, তাদের অধিকাংশই কাজে দক্ষ বলা যায়। দেশে অনেক ভালো ভালো আইটি সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে মানসম্মত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এত সবের পরেও, নতুন ফ্রিল্যান্সারা মার্কেটপ্লেসে ভালো করতে পারে না। শুধু দক্ষতার উপর ভর করে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়া যায় না। 

আপনাকে শুরুতেই মার্কেটপ্লেস রিসার্চ করে খুঁজে বের করতে হবে কোন কাজের চাহিদা বেশি, কোন কাজের চাহিদা কম। দক্ষতা এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ, এ দুটির সঠিক সমন্বয় হলে আপনি মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে পারবেন। শুধু ফাইভার না, যে কোন মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র হল ভালো এবং প্রফেশনাল মানের কাজ জানা । 

এটাই হল কাজ করার প্রথম শর্ত। এর পাশাপাশি এমন একটা সেক্টর সিলেক্ট করুন যেটাতে অন্যান্য সেক্টরগুলো থেকে প্রতিযোগিতা কম, কিন্তু চাহিদা বেশি। নিজেকে ভালো করে যাচাই বাচাই না করে অন্যের সাজেশন নিয়ে কাজ শিখলে সে কাজে আপনি সফল নাও হতে পারেন। 

এই Chapter এর শুরুতে আমরা এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে মার্কেটপ্লেসে চাহিদা রয়েছে এরকম কাজগুলো চাহিদা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করেছি। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন তারা কাজ সিলেকশনে নিজেকে এবং মার্কেটপ্লেস যাচাই করে নিবেন। সেই সাথে বেটার একটা গাইডলাইন, ফাইভার রুলস রেগুলেশন এবং টার্মস এন্ড কন্ডিশন জানার জন্যে আমাদের পরবর্তী Chapter গুলো ভালোভাবে অনুশীলনকরবেন।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠকগণ আজকের আর্টিকেলে আমরা ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে মার্কেটপ্লেসে নিজেকে দক্ষ করে তুলবেন সেই বিষয়েও বিস্তারিত জানিয়েছি আপনাদের। আশাকরি আজকের আর্টিকেলটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক উপকারী হবে। পরবর্তী আর্টিকেলে পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো‌ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url