ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ ও কাজের পরিচিতি

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আবারো নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে Chapter #2 তে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ ও কাজের পরিচিতি নিয়ে। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি......ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সার হল একজন অনলাইন শ্রমিক, যাদের কর্মস্থল হল বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস। এসব মার্কেটপ্লেসে বিশ্বের অসংখ্য ক্লায়েন্ট সার্ভিস নিতে আসে। মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়।  এসব কাজের চাহিদা ও মূল্য এক নয় । সময়ের সাথে কোন কোন কাজের চাহিদা বাড়ে আবার কোন কোন কাজের চাহিদা কমে যায়। 

বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Ai) কর্ম দক্ষতা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। মানুষ এখন চ্যাটজিপিটি এবং বিভিন্ন Ai টুলসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে Ai নির্ভর হয়ে পড়ছে। যার ফলে মার্কেটপ্লেসে কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের মনে এক প্রকার সংশয় জন্ম নিয়েছে। Ai কখন কোন কাজে ভাগ বসিয়ে মানুষকে কর্মহীন করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সংশয় এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে নই। 

কারন ইতিমধ্যে Ai এর কারনে মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজের চাহিদায় হ্রাস-বৃদ্ধি হয়েছে। তাই ২০২৪ সালে মার্কেটপ্লেসে চাহিদা রয়েছে এরকম কাজের চাহিদা নিচ আলোচনা করা হয়েছে। যা সদ্য নতুন ফ্রিল্যান্সারদের স্কিল ও আগ্রহ অনুযায়ী কাজ শিখে সফল ফ্রিল্যান্সার হতে সহায়তা করবে। ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন সার্ভিস বা কাজসমূহঃ 

১. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ২. ডিজিটাল মার্কেটিং ৩. ইউ আই/ইউ এক্স ডিজাইন ৪. অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ৫. ডেটা এনালাইসিস বা তথ্য বিশ্লেষণ ৬. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ৭. ভিডিও এডিটিং ৮. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ৯. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ১০. গ্রাফিক্স ডিজাইন

পোস্ট সূচিপত্র:

Web Design & Development: 

আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকি। এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাউজার হল ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার। মাঝে মধ্যে নিজেদের মনে প্রশ্ন জাগে, এসব ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে? কিভাবে এসব ওয়েবসাইট কাজ করে? এসব ওয়েবসাইট মূলত তিনটি ভাগে কাজ করে থাকে। 

যেমন: ডিজাইন, কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটাবেস। ওয়েব ডিজাইন মানে হল একটি ওয়েবসাইট এর ইন্টারফেস দেখতে কেমন হবে। সহজ কথায়, একটি ওয়েবসাইটের উপরের অংশে বা টাইটেলে কি থাকবে, হেডার, মেনু-বার, ইমেজ এবং অন্যান্য তথ্যগুলো কিভাবে একজন ভিজিটরের কাছে প্রদর্শিত হবে তাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন যা মূলত ওয়েব ডিজাইনাররা করে থাকে। 

ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে Adobe Photoshop, GIMP, HTML, CSS, JavaScript ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। ওয়েব ডিজাইনারদের কে আমরা Front-end ডেভেলপারও বলতে পারি । আবার একজন ওয়েব ডিজাইনার যা ডিজাইন করেন, তার প্রতিটি পেইজকে সজীব, ফাংশনাল এবং গতিশীল করাই হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট । মূলত ডিজাইন, কনটেন্ট এবং ডেটাবেসের মধ্যে সমন্বয় করে পুরো সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলাই হল ওয়েব ডেভেলপারের কাজ । 

এছাড়াও, ডাটা প্রসেসিং এবং নিয়ন্ত্রণ, সিকিউরিটি, ওয়েবসাইটের সকল ফিচার ফাংশনাল করা, ইউজার এবং এডমিনের ক্ষমতা নির্ধারণ ইত্যাদি এডভান্স কাজগুলো একজন ওয়েব ডেভেলপার করে থাকেন। এর জন্য PHP, MySQL, HTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUERY, BOOTSTARP এ বেশ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হয় । ( তবে বর্তমানে w3 School এই ওয়েব সাইটটি ব্যবহার করে কোডিং সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে পারবেন)

মার্কেটপ্লেসে এরকম আরও অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো একটু জটিল এবং এডভান্স লেভেলের। যেমন WordPress, Website Builders & CMS, User Testing, Web Programming, E-Commerce Development, Mobile Apps, Cyber Security, Data Protection, Support & IT ইত্যাদি। 

এবার আসি মূল কথায়, একজন ওয়েব ডিজাইনার ও ডেভেলপারের মার্কেটপ্লেসে চাহিদা কেমন? বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন Fiverr, upwork, freelancer এ প্রায় ৭০ থেকে ৮০% কাজ এ সেক্টরের। এটি এমন একটি সেক্টর যা অন্যান্য সেক্টরের ফ্রিল্যান্সাদেরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে লগো, ইমেজ এডিটিং, ভিডিও, ইন্ট্রো ইত্যাদি কাজগুলো অন্যান্য সেক্টরের ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেয়।

আবার, সেই ওয়েবসাইট এসইও(SEO= Search Engines Optimization) করার জন্য একজন এসইও স্প্যাশালিস্ট এর প্রয়োজন পড়ে। এভাবে মূলত একজন ক্লাইন্টের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পদের ফ্রিল্যান্সারের প্রয়োজন হয়। এছাড়া ভালো এবং প্রফেশনাল লেভেলের কাজ পারলে এ সেক্টরে মাসে কমপক্ষে হাজার ডলারের চেয়েও বেশি ইনকাম করা যায়। 

একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হতে আপনার কমপক্ষে দুই এক বছর এবং ডেভেলপার হতে তিন চার বছর সময় লাগতে পারে। তবে সময়টা কম বেশি হতে পারে। কতটুকু আগ্রহ সহকারে কাজ শিখছেন তার উপর সময় নির্ভর করবে। 

Digital Marketing: 

অনলাইনে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাই হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল্য উদ্দেশ্য। আবার, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন: রেডিও, টিভি, পত্র-পত্রিকা, ব্যানার ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাধন করাটাও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ছোট বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তাদের পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং অপরিহার্য।

মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো সার্ভিস এবং ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট জনক কাজ করে দিতে পারলে প্রতিমাসে কমপক্ষে পাঁচশত ডলারের বেশি উপার্জন করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার বড়জোর পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর আপনি কেমন সময় দিয়ে কাজ করছেন তার উপর।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন রকমের ক্যাটাগরি রয়েছে এবং প্রতিটি ক্যাটাগরির কাজের ধরনও ভিন্ন ভিন্ন । যেমন: • SE0 (Search Engine Optimization), Social Media Marketing, E-Commerce Product Marketing, Search Engine Marketing, Affiliate Marketing, Email Marketing & CPA Marketing.

UI/UX Design: 

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি কাজ হল ইউআই/ইউএক্স (UI/UX) ডিজাইন। মার্কেটপ্লেসে দিন দিন এই কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে। UI এর পূর্ণরূপ হল User Interface এবং UX এর পূর্ণরূপ হল User experience. আমরা আমাদের স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করি। এসব অ্যাপ্লিকেশন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে ইউজার ইন্টারফেস আমরা দেখতে পাই মূলত তাই হল UI ডিজাইন। 

UI ডিজাইনের ক্ষেত্রে UX কে গুরুত্ব দেয়া হয়। ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনার হতে হলে ভালো ডিজাইনসহ ইউজার বা কাস্টমারের সুযোগ সুবিধা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় সেসব সফটওয়্যারে বেশ দক্ষ হতে হবে। 

যেমন Adobe XD, InVision Studio, Flowmapp, Sketch, Figma & Craft ইত্যাদি। মার্কেটপ্লেসে এর ভালো চাহিদা থাকায় ভালো উপার্জন করার সুযোগ ও রয়েছে। 

Application Development: 

বর্তমান সময়ের তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ হয়ে পড়েছে। স্মার্টফোন ছাড়া যেন কল্পনা করাই যায় না। স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। এসব অ্যাপ্লিকেশনের ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন করা, 

অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা এবং এর সকল ফাংশন সজীব করাই হল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শিখে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে কমপক্ষে ১-১.৫ বছর সময় লাগবে। মার্কেটপ্লেসে এর ভালো চাহিদা থাকায় প্রতি মাসে হাজার ডলারের বেশি উপার্জন করা সম্ভব।

Data Analysis: 

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এবং মার্কেটপ্লেসে যার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এরকম একটি সার্ভিস হল ডাটা এনালাইসিস । অনলাইন অফলাইন সবক্ষেত্রে এর সমান গুরুত্ব ও চাহিদা রয়েছে। ডাটা বিশ্লেষণ ও রিসার্চের মাধ্যমে কোন একটি প্রোডাক্টের সঠিক মার্কেটিং, ক্রয় বিক্রয়, ক্রেতার আগ্রহ, পছন্দ অপছন্দ ইত্যাদি বিষয়ে বিশদভাবে জানা যায়। 

একটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানিকে মার্কেটে দাঁড় করাতে ডাটা এনালাইসিস এর বিকল্প নেই। এছাড়া বিভিন্ন রিসার্চ এর কাজেও ডাটা এনালাইসিস করতে হয়। এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে হলে ডাটা কালেকশন, ডাটা বিশ্লেষণ, ডাটা মডেলিং এবং বিভিন্ন গ্রাফিকাল প্রেজেন্টশনে বেশ ভালো ধারণা থাকতে হবে। 

আগেই বলেছি আপনাদের, এটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদাসম্পন্ন সার্ভিস। একজন প্রফেশনাল এবং ভালো মানের ডাটা এনালাইসিস্ট হয়ে উঠতে নূন্যতম ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে । 

Artifitial Inteligence: 

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাকে আমরা সবাই Ai বলে চিনি (AI বা Artificial intelligence)। Ai এর কর্মদক্ষতা সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। Ai এর সাহায্যে মানুষের মুখের ভাষা বুজতে পারা, ছবি সনাক্ত করা, ভয়েজ তৈরি করা, আর্টিকেল লিখা, বিভিন্ন গ্রাফিক্সের কাজ করা, ওয়েবসাইট তৈরি করা এমনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো সহ জটিল সব কাজের সহজ সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে। 

ChatGPT, Murf.Al; Midjourney; 0web ইত্যাদি এআই টুলসের সাহায্যে কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি ব্লগ সাইটের প্রাণ হচ্ছে আর্টিকেল। যত সুন্দর ও ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল শেয়ার করা যায় ততবেশি ভিজিটর ও পাওয়া যায় এবং ততবেশি ইনকাম ও করা যায়। 

এআই এর মাধ্যমে বর্তমানে অনেক সুন্দর ও উন্নত ভাষাজ্ঞান দিয়ে আর্টিকেল লিখা সম্ভব হচ্ছে। ভালো একটি ব্লগ সাইট থেকেও মাসে নূন্যতম হাজার ডলার উপার্জন সম্ভব। আবার ক্লায়েন্ট বা বায়ারের প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে এআই বিভিন্ন গ্রাফিক্সের কাজ, কোডিং, আর্টিকেল দিয়ে সহায়তা করছে। ফলে অল্প সময়ে, অল্প বুদ্ধি ভিত্তিক শ্রম দিয়ে বড় বড় প্রজেক্ট সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। 

প্রজেক্ট এবং ইনকাম সোর্সও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে আয় উপার্জন সম্ভব হচ্ছে। 

Video Editing: 

একটা সময় নাটক সিনেমা কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভিডিও রেকর্ডিং এবং ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন হলেও বর্তমানে এটি ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মার্কেটপ্লেসে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং এর চাহিদা সারা বছর স্থিতিশীল থাকে। রেকর্ড করা ভিডিওতে বিভিন্ন সাউন্ড ইফেক্ট, মিউজিক, ট্রানজিশন, টেক্সট যোগ করে সিকোয়েন্স অনুযায়ী সব ক্লিপের সমন্বয়ে একটি ভিডিও তৈরি করাই হল ভিডিও এডিটিং। 

ভিডিও এডিটিং এন্ড এনিমেশনে ক্যারিয়ার গড়তে হলে Adobe Premiere Pro, Adobe after effects, VFX ইত্যাদি সফটওয়্যারগুলোতে বেশ দক্ষ হতে হবে। কাজ শিখতে নূন্যতম ছয় মাস থকে এক বছর সময় লাগতে পারে। মার্কেটপ্লেসে এই কাজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিমাসে পাঁচশ থেকে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভব। 

Virtual Asistant: 

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে দেশ বিদেশের বিশেষ কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সহকারী হয়ে কম্পিউটারের নানাবিধ কাজ করে দেওয়ার নামই হল ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট। ক্লায়েন্ট বা ঐ ব্যক্তির ব্যক্তিগত কাজ যেমন ডাটা এন্ট্রি, কপি রাইটিং, মার্কেটিং, এক্সেল, 

একাউন্টিং, মেইল, ফাইল ম্যানেজিং ইত্যাদি। মার্কেটপ্লেসে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যারা কম্পিউটার অপারেটিং এ মোটামোটি সব বিষয়ে অভিজ্ঞ, তারাই এ সেক্টরে ভালো করে। ভালো সার্ভিস দিতে পারলে প্রতিমাসে হাজার ডলারের বেশি উপার্জন করা সম্ভব। 

Search Engine Optimization: 

গুগল, ইউটিউব, মার্কেটপ্লেস সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কোন একটি কনটেন্টকে সার্চ রেজাল্টের সর্ব প্রথমে নিয়ে আসার প্রসেসই হল এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এসইওর সাথে সব ফ্রিল্যান্সার সুপরিচিত। কারন এর সাথে গিগ, প্রজেক্টের র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর জড়িত। 

ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো, প্রচার প্রসার, পণ্যের কেনাবেচা ইত্যাদির কারনে মার্কেটপ্লেসে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাজ শিখতে তিন থেকে চার মাসই যথেষ্ট। প্রতিমাসে পাঁচশত থেকে হাজার ডলার উপার্জন করা যায়। 

Graphic Design: 

মানুষের কল্পনা বা চিন্তা শক্তি, তথ্য, মেসেজকে রং, রেখা ও বিভিন্ন সেপ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরাই হল গ্রাফিক ডিজাইন। এটি আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় একটি সেক্টর। অন্যসব সেক্টর থেকে এ সেক্টরে সহজে কাজ শেখা যায় এবং মার্কেটপ্লেসেও সহজে কাজ পাওয়া যায় ৷ 

এ সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে Adobe Photoshop, Adobe illustrator, Adobe indesign ইত্যাদি software গুলোতে বেশ পারদর্শী ও দক্ষ হতে হবে। কাজ শিখে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। ( গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বিভিন্ন সফটওয়্যার ক্রয় করতে নিচের লিংকে চাপ দিয়ে ফর্ম টি পূরণ করে দিন) 

লেখকের শেষ কথা:

আজকের আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ ও কাজের পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশাকরি, আজকের আর্টিকেলটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক উপকারী হবে এবং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার আগে তারা ডিসিশন নিতে পারবে যে কোন কাজ শিখতে কত সময় লাগবে কিংবা কোন কাজের গুরুত্ব কেমন সেটি।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, পরবর্তী Chapter # আসা পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে । আল্লাহ হাফেজ. 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url