কলা খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও সঠিক উপায় জেনে রাখুন

আপনি কি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে এসেছেন? তাহলে, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানাব আপনাদের।

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন কলার উপকারি দিক ও অপকারি দিক সম্পর্কে। এমন কোনো মানুষ নেই যে কলা খায় না। কলা একটি ছোট, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল, তাই, দৈনিক খাদ্য তালিকায় কলা বাদ দেওয়া যাবে না।

পেজ সূচিপত্র: কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কলার পুষ্টিগুণ

অনেকেই মনে করেন কলা খেলে ওজন বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই খাদ্য তালিকা থেকে কলা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু আপনি জানেন কি... কলা খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। রক্তচাপ ঠিক রাখা থেকে শুরু করে হৃদরোগ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মাত্র একটি কলা। এছাড়াও পাকা হলুদ কলায় এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরে নানা উপকার করে।

আসুন, আমরা একনজরে জেনে নেই কলায় কি কি পুষ্টিগুণ থাকে সেই সম্পর্কে,

প্রতি ১০০ গ্রামে পুষ্টি উপাদান থাকে,,

  • ক্যালোরি থাকে ৮৯ গ্রাম
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাট ০.১ গ্রাম
  • মোট ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
  • সোডিয়াম ১ মি. গ্রাম
  • পটাশিয়াম ৩৫৮ মি. গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট ২৩ গ্রাম
  • ফাইবার ২.৬ গ্রাম
  • চিনি ১২ গ্রাম
  • প্রোটিন ১.১ গ্রাম
  • ভিটামিন সি ১৪%
  • আয়রন ১%
  • ভিটামিন বি6 ২০%
  • ম্যাগনেসিয়াম ৬%

খালি পেটে কলা খেলে কি হয়

কলায় পটাশিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়াম এর মতো পুষ্টিকর উপাদান থাকায় কলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি ফল। অনেকেই অফিস কিংবা স্কুলে যাওয়ার সময় খালি পেটে একটি মাত্র কলা খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু সকালের নাস্তায় একদম খালি পেটে কলা খাওয়া কি ভালো না খারাপ সেটি যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনি বিপাকে পড়তে পারেন।

▶▶ আরও পড়ুন: লেবুর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা

কলায় পটাশিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়াম সহ আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন পুষ্টি উপাদান থাকার পরও খালি পেটে কলা খাওয়া একদমই উচিত নয়। এমনটাই জানাচ্ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিবেদন ও বিশেষজ্ঞরা। সকালে খালি পেটে কলা না খাওয়ার পেছনে তিনটি কারণ বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। আসুন জেনে নেই সেই কারণ গুলো কি কি..

  • ১: বিশেষজ্ঞদের মতে কলায় প্রচুর পরিমাণে চিনি রয়েছে যা শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। তাই, সকালের শুরুতে কলা খেলে মাত্র কয়েক ঘন্টা পর সেই শক্তি ফুরিয়ে যাবে যার ফলে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এবং ঘুম পাবে। এইজন্যই সকাল বেলা অফিসে কিংবা স্কুলে যাওয়ার আগে কখনোই খালি পেটে কলা খাবেন না।
  • ২: দ্বিতীয় কারণে বিশেষজ্ঞরা যা বলেছেন তা হচ্ছে, কলায় প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তাই শুকনো কোনো খাবারের সাথে কলা খাওয়া ভালো তা না হলে শরীরে উচ্চ মাত্রায় অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বুক জ্বালাপোড়াসহ আরও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • ৩: কলা একটি ফাইবার বা আঁশ জাতীয় ফল, তাই একটি মাঝারি সাইজের কলা খেলেই পেট ভরে যায়। অল্পতেই পেট ভরে যায় বলে সহজে ঘুম চলে আসে এবং দুর্লভ ভাব দেখা দেয়। তাই, বিশেষজ্ঞদের মতে কলায় পটাশিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়ামের মত পুষ্টি উপাদান থাকার পরও খালি পেটে কলা খাওয়া মোটেও উচিত নয়।

এদিকে পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের নাস্তায় কলা একটি চমৎকার খাদ্য উপাদান। কলাতে থাকা পটাশিয়াম ও অ্যাসিডিক উপাদান সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু তার স্বত্তেও খালি পেটে কলা খাওয়া যাবে না। সকালের অন্যান্য নাস্তা যেমন আঁটার রুটি, পাউরুটি, বন ইত্যাদির সাথে কলা খাওয়া যাবে। এতে কলাতে থাকা অ্যাসিডিয় উপাদান পাকস্থলীতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না।

▶▶ আরও পড়ুন: এলাচ খেলে কি কি উপকার হয়? - কালো এলাচের উপকারিতা

এছাড়া খালি পেটে কলা খেলে কলাতে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেশিয়ামের প্রভাবে শরীরে হৃদরোগ সহ আরও অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে আবার, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে সকাল বেলা যে কোনো ফলই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয় কারণ বর্তমান সময়ে সকল ফলই বিভিন্ন ক্যামিকেল দ্বারা সংরক্ষণ করা হয়।

তাই, এইসব বিষয়ে বিবেচনা করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সকাল বেলা খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয় বরং যে কোনো ফল খাওয়ার আগে তা অন্তত ৩০ মিনিট বিশুদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে রাখে তারপর খাওয়া ভালো। এতে স্বাস্থ্যের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার চান্স থাকে না।

প্রিয় পাঠক, আশাকরি আপনি জানতে পেরেছেন যে খালি পেটে কলা খাওয়া ভালো নাকি খারাপ সেই সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি কলার আরও উপকারি দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য কলা একটি ভালো ফল। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার/আঁশ, ভিটামিন বি6, পটাশিয়ামসহ শর্করা ও প্রচুর পরিমাণ শক্তি। একটি কলা আপনার সারাদিনের শাক্তি জোগানোর জন্য যথেষ্ট। 

কিন্তু আপনি জানেন কি দিনে কতটা কলা খাওয়া উচিত.? জানেন না তো সমস্যা নাই আজকের আর্টিকেলের এই অনুচ্ছেদে আমরা সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। একজন মানুষের দৈনিক কতটা কলা খাওয়া উচিত কিংবা খাওয়া উচিত নয় তাঁর কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

তবে পুষ্টিবিদদের মতে দৈনিক ১ থেকে ২টি কলা খাওয়া শরীরের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। কলায় থাকে ফাইবার/আঁশ, ফ্রুক্টোজ, কার্বোহাইড্রেট এবং কম পরিমাণ পানি। এ কারণে বেশি কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সহ ঘুমের সমসা হতে পারে ।

▶▶ আরও পড়ুন: খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও খোরমা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

মূলত কলাতে থাকা ট্রিপটোফ্যান উপাদানের কারণে এমনটি হয় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। এছাড়াও কলায় থাকা ভিটামিন বি6 মুড ঠিক করা সহ ঘুমের সমসা তৈরি করে। সুতরাং, সর্ব শেষ একটি কথায় বলব প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছুই বেশি খাওয়া ভালো নয়।

কলা খাওয়ার সঠিক উপায় / কলা খাওয়ার সঠিক সময়

প্রিয় পাঠক, এখন আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কলা খাওয়ার সঠিক উপায় কিংবা কলা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। যারা তাদের ডেইলি রুটিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই কলা খাওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে...

কলা এমন একটি ফল যেটা সকল ধরনের নিউট্রিশনের ঘাটতি একাই পূরণ করে থাকে। নিয়মিত কলা খেতে পারলে অসংখ্য রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়। কলার মধ্যে পটাশিয়াম ও ফাইবারের মাত্রা অনেক বেশি রয়েছে। সেই সাথে এতে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ আরও অনেক ভিটামিন ও রয়েছে। কলাতে ভিটামিন বি1, ভিটামিন বি6 অসংখ্য পরিমাণে পাওয়া যায়।

এছাড়া কলা ভিটামিন সি ও আয়রনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সোর্স‌ সেইজন্য প্রত্যেকের নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত। আসুন এবার আমরা জানি, কলা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। আপনি যদি কলা খাওয়ার সঠিক সময় না জেনে থাকেন তাহলে আপনি কলার সঠিক পুষ্টিগুণ পাবেন না। তাই সঠিক উপায় মেনে কলা সেবন করলে এর উপকারিতাও একটু বেশি পাওয়া যাবে।

আপনি যদি সকালে শুষ্ক কোনো কিছু যেমন: আটার রুটি, পাউরুটি ইত্যাদির সাথে কলা খেতে পারেন তাহলে সেটি সবথেকে বেশি উপকারী হবে। পুষ্টিবিদদের মতে কলা সবসময় সূর্য ডোবার আগে খেতে হয় অর্থাৎ রাতে কলা খেতে নিষেধ করেছেন পুষ্টিবিদরা এতে করে আপনার ঘুমের সমস্যাসহ আরও অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।

▶▶ আরও পড়ুন: আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ঔষধি গুণাগুণ

আসুন এবার আমরা জানি কলা খাওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি কলা আমাদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। কিন্তু আপনি যদি কলার সাথে গোল মরিচের গুঁড়া, আদার গুঁড়া অথবা ডাল চিনির গুঁড়া মিশিয়ে সেবন করেন তাহলে এটি আরও কয়েকগুণ বেশি উপকারী হয়ে উঠবে আপনার শরীরের জন্য।

তাছাড়া ওজন কমানোর জন্য এটি একটি কার্যকরী উপায়ও বটে ‌। আমরা সকলে কলা খাওয়ার সময় কলার খোসাটি ফেলে দিই। কিন্তু এখন থেকে এই ভুলটি আর করবেন না কেননা পুষ্টিবিদদের মতে কলার খোসার উপরে লেগে থাকা সাদা অংশটুকু খেতে পারলে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সুতরাং, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলার খোসার বিকল্প নেই।

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, ইতোপূর্বে আমরা কলার পুষ্টিগুণ, দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত এবং কলা খাওয়া সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কলা খাওয়া উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কলা খাওয়ার বেশ কিছু আশ্চর্য জনক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আপনার জানা খুবই জরুরি।

কলা খাওয়ার উপকারিতা

  • ১. রক্ত স্বল্পতা পূরণ করে।
  • ২. অবসাদ দূর করে।
  • ৩. ডিপ্রেশন দূর করে।
  • ৪. মনকে চাঙ্গা করে।
  • ৫. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়।
  • ৬. বুক জ্বালাপোড়া দূর করে।
  • ৭. মাথা ঘোরা দূর করে এবং মেধা বৃদ্ধি করে।
  • ৮. উত্তেজনা কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ৯. শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায়।
  • ১০. ডিসঅর্ডার দূর করে।
  • ১১. পেট পরিষ্কার করে।
  • ১২. শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • ১৩. হজম শক্তি বাড়ায়।
  • ১৪. হৃদযন্ত্র ভালো রাখে ও কিডনি সুস্থ রাখে।
  • ১৫. শরীরে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

▶▶ আরও পড়ুন: শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় | শরীর ফিট রাখতে করণীয়

শুনতে কিছুটা অদ্ভুত হলেও এটাই সত্যি যে, দেহের এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যা রোধে ওষুধ থেকেও কলা অধিক কার্যকরী। কলার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। এটি খেতেও বেশ মজাদার। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, এই ফল নারীর ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধান করে

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এবং দেহে শক্তি জোগায় ‌। কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বিভিন্ন রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েব সাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে দেহের ১০টি সমস্যার কথা যা রোধে কলা খাওয়া সবচেয়ে বেশি দরকারি। নিচে সেই ১০টি পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি...

১. কলা শক্তির অত্যান্ত ভালো উৎস। যার ফলে অনেক খেলোয়াড় তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখেন একটি কলা।

২. কলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড, যেটি মানসিক চাপ রোধক হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা বিষন্নতা রোধে কাজ করে।

৩. কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও সামান্য পরিমাণ লবণ যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।

৪. প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে।

৫. কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং যেসব রোগীর রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া রোগ রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।

৬. কলা দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

৭. সন্তান সম্ভাবা নারীর জন্য কলা খাওয়া খুবই উপকারী কেননা এটি সকালবেলার দূর্বলতা কাটাতে কাজ করে এবং রক্তের শর্করার সামঞ্জস্য বজায় রাখে।

৮. কলা পাকস্থলীর এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাকস্থলীর আলসার রোধে কাজ করে থাকে।

৯. কলার মধ্যে ছয় ধরনের ভিটামিন রয়েছে, যা রক্তে শর্করা গঠনে কাজ করে।

১০. এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার । রোজ সকালে একটি পাকা কলা খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং শরীর থাকবে তরতাজা।‌

▶▶ আরও পড়ুন: আম খাওয়ার উপকারিতা কি? আম কেন খাবেন?

কলা খাওয়ার অপকারিতা

১. অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে, তাই রাতের বেলা বেশি কলা না খাওয়ায় ভালো।

২. যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কেননা এতে ঠান্ডা লাগার পরিমাণ আরও গুরুতর হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ছোট্ট শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ জটিলতা সৃষ্টি করে।

৩. কলা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে কিন্তু খুব বেশি কলা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে।

৪. কলা একটি চিনি জাতীয় খাবার তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা খুব বেশি পরিমাণ কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলা খাওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং আপনার মতামতটি আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যাঁ এই রকম আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url