ইউটিউব মার্কেটিং কি - কিভাবে শুরু করবেন ইউটিউব মার্কেটিং জানুন

ইউটিউব মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন ইউটিউব মার্কেটিং তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে, আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ইউটিউব মার্কেটিং কি? ১০ উপায়ে কিভাবে ইউটিউবে মার্কেটিং করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আমাদের আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে একটা সুষ্ঠু ধারণা পেয়ে যাবেন।

ইউটিউব মার্কেটিং কি

বর্তমান সময়ে অনলাইনে নিজের ব্র্যান্ডকে বা ব্যবসাকে প্রমোট করতে মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই। অনলাইন জগতের সকল মার্কেটিং এর ধারণা পাল্টে দিয়েছে ইউটিউব। বছর কয়েক আগে যদি বলা হতো বিজ্ঞাপন প্রচারের সেরা মাধ্যমে হচ্ছে টিভি চ্যানেল তখন তা মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে সকল মার্কেটিংকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ইউটিউব। তাহলে চলুন আজকের পোস্টটি থেকে ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্র ঃ ইউটিউব মার্কেটিং কি - কিভাবে শুরু করবেন ইউটিউব মার্কেটিং

ইউটিউব মার্কেটিং কি?

মূলত মার্কেটিং মানেই হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। যেমন ধরুন আপনি আপনার একটি পণ্যের প্রচারণা করতে চাচ্ছেন সেটিও হচ্ছে এক প্রকার মার্কেটিং। এখন বলি ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে। 

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানোকে বলে ডিজিটাল মার্কেটিং আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম শাখা হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। অতএব এ কথা বলা যায় যে, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে কোন পন্যের প্রচারণা চালানোকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলে। 

ইউটিউব মার্কেটিং আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে পেইড মার্কেটিং এবং অপরটি হচ্ছে ফ্রি মার্কেটিং। ফ্রি মার্কেটিং হচ্ছে আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখান আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে আপনার টার্গেটেড দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। 

অপরদিকে পেইড মার্কেটিং হচ্ছে আপনি ইউটিউবে টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন অর্থাৎ আপনি আপনার পন্যের প্রচারণা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পেইড মার্কেটিং এর সুবিধা হলো আপনি অল্প সময়ের মধ্যে আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে আপনার পন্যের প্রচারণা চালাতে পারবেন। আর অন্য দিকে ফ্রি মার্কেটিং এর অসুবিধা হচ্ছে এটি একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার

ইউটিউব মার্কেটিং এর অনেক গুলো প্রকার প্রকরণ রয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন উপায়ে ইউটিউব মার্কেটিং করা যেতে পারে। আজকের আর্টিকেলের এই অংশটির মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং কত প্রকার এবং কোনটা কিভাবে করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানাব আপনাদের। সুতরাং, ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।

বর্তমান সময়ে অন্যান্য মার্কেটিং কে পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে ইউটিউব মার্কেটিং। দিনে দিনে ইউটিউব মার্কেটিং সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর, এই জনপ্রিয়তা অর্জন করার অন্যতম কারণ হচ্ছে অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় ইউটিউব মার্কেটিং অনেক বেশি ফলপ্রসূ । তাহলে, চলুন একে একে জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব মার্কেটিং এর প্রকার সম্পর্কে।

ধাপ ১: ভিডিও অ্যাডস: ইউটিউবে মার্কেটিং করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ভিডিও অ্যাডস। আমরা সকলেই জানি ইউটিউব হচ্ছে একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন প্রকারের ভিডিও শেয়ার করা হয়ে থাকে। তাই, এখানে ভিডিও অ্যাডস সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে। আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইউটিউবে ভিডিও অ্যাডস পরিচালনা করতে হবে।

আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও অ্যাডস চালাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পেইড ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। পেইড ক্যাম্পেইন কি তা আমরা আগেই বলেছি আপনাদের। পেইড ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য আপনাকে ইউটিউব কের্তৃপক্ষকে পেমেন্ট করতে হবে ভ্যাট সহকারে।

ধাপ ২: ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: ইউটিউব মার্কেটিং করার আর একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। বর্তমান আমাদের দেশে প্রায় অধিকাংশ মানুষই ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মাধ্যমে তার পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে থাকে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে মূলত জনপ্রিয় ইউটিউবার দের দিয়ে আপনার পণ্য বা সেবাকে প্রমোশন করা।

অর্থাৎ, আপনি যে নিস নিয়ে কাজ করেন কিংবা যে নিস এর উপর সেবা প্রদান করে থাকেন সেই নিসকে কোন জনপ্রিয় ইউটিউবার এর ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে ওই ইউটিউবারকে অর্থ প্রদান করতে হবে। বলতে পারেন এটিও আরকেটি পেইড মার্কেটিং এর মতো। 

কিন্তু আপনি যদি জনপ্রিয় ইউটিউবার দের ভিডিওর মাধ্যমে আপনার পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে অধিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এবং আপনি অল্প খরচে অধিক পরিমাণে প্রফিট অর্জন করতে পারবেন।

ধাপ ৩: প্রোডাক্ট রিভিউ: ইউটিউব মার্কেটিং করার আর একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে প্রোডাক্ট রিভিউ। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার আছে যারা তাদের ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে অন্য কারও সেবা কিংবা পণ্যের রিভিউ করে থাকে ‌। আপনি চাইলে এই সব ইউটিউবারদেরকে কিছু টাকা দিয়ে আপনার পণ্য কিংবা সেবার রিভিউ করাতে পারেন।

এতে করে আপনার যে প্রফিট টি অর্জন হবে তা হচ্ছে আপনি আপনার পণ্য কিংবা সেবাকে অনেক লোকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন সাথে দর্শকরা আপনার সেবা কিংবা পণ্য সম্পর্কে একটা ইতিবাচক তথ্য পাবে। যা আপনার পণ্যের বিক্রি দিগুন করে দিবে। অনেকেই এইভাবে মার্কেটিং করে তাদের সেবা কিংবা পণ্যের বিক্রি অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে।

ধাপ ৪: ব্রান্ড চ্যানেল: ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্যতম আরেকটি উপায় হচ্ছে ব্রান্ড চ্যানেল। আপনি আপনার ব্রান্ড সম্পর্কিত একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে প্রতিনিয়ত আপনার সেবা কিংবা পণ্য সম্পর্কে আপডেট জানাতে পারেন। ব্রান্ড চ্যানেল এর মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। 

এতে আপনার এক টাকাও ইনভেস্ট করতে হবে না। তবে, এক্ষেত্রে আর একটি অসুবিধাও আছে। তা হচ্ছে, আপনি অন্যান্য পদ্ধতিতে মার্কেটিং করে যত দ্রুত আপনার দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারতেন এক্ষেত্রে আপনি তা পারবেন না। পারবেন না যে এমনটিও নয়, পারবেন তবে এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং এর একটি হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। কিন্তু কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না! তাহলে আজকের আর্টিকেলের এই অংশে শেয়ার করা প্রতিটি ধাপ গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। তাহলে কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করবেন তার একটা সুষ্ঠু ধারণা পেয়ে যাবেন। তাহলে, চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যায়।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা: ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে তা হচ্ছে লক্ষ্য নির্ধারণ করা। ইউটিউব মার্কেটিং করার আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। কেননা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া যদি আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার টাকা ও সময় দুটোই জলে যেতে পারে, আপনি সফল নাও হতে পারেন। তাই, ইউটিউব মার্কেটিং করার আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ভুলবেন না।

টার্গেটেড অডিয়েন্স নিবার্চন করা: ইউটিউব মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য নির্ধারণের পাশাপাশি টার্গেটেড অডিয়েন্স ও নির্বাচন করতে হবে। মূলত আপনি যেই মার্কেটিং টা করবেন সেটার সম্পূর্ণ ক্রেডিট হচ্ছে অডিয়েন্স দের হাতে। তাই, ইউটিউব মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অডিয়েন্স টার্গেটিং এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

মনে রাখবেন যাদের আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রতি ইন্টারেস্ট রয়েছে তারাই একমাত্র আপনার অডিয়েন্স। তাই, টার্গেটিং এ সবসময় বেশি সময় দিবেন। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করবেন সেই রিলেটেড অডিয়েন্স আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। তাহলে, অল্প সময়ে অধিক প্রফিট ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল এড একাউন্ট ক্রিয়েট করুন: আপনি যদি ইউটিউবে পেইড মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে একটি গুগল এড একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। (কিভাবে ক্রিয়েট করবেন সেটা এখানে চাপ দিয়ে দেখে নিতে পারেন) পেইড মার্কেটিং কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে সেটি আমি আগেই বলেছি আপনাদের তাই নতুন করে আর বলছি না। তবে পেইড মার্কেটিং করার সুবিধা হচ্ছে আপনি দ্রুত সময়ের মধ্যে রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

তাছাড়া আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল হওয়ার পসিবিলিটি অনেক বেশি বেড়ে যায়। ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিয়ে পেইড মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে গুগল এড একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে এবং ডুয়েল কারেন্সি কার্ডও থাকতে হবে। না হলে কিন্তু আপনি ইউটিউব পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন না।

( আপনার যদি এড একাউন্ট বা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড‌‌‌ না থেকে থাকে তাহলে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রিলেটেড অডিয়েন্স রিসার্চ থেকে শুরু করে রেজাল্ট আসা পর্যন্ত মনিটরিং করব)

হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করুন: ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট এর জন্য ইউটিউবের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কন্টেন্ট তৈরি করতে জানতে হবে। এমনকি যা তা কন্টেন্টও আবার তৈরি করা যাবে না আপনাকে একদম অর্গানিকেলি হাই কোয়ালিটির কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। 

কন্টেন্ট যদি হাই কোয়ালিটির নায় হয় সেক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কাস্টমার এর কাছে পৌঁছাবে না। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন হাই কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট তৈরি করার।

ভিডিও এসইও অপটিমাইজ করুন: আপনি যদি অর্গানিকভাবে আপনার প্রোডাক্ট বা সেবার ইউটিউব মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই (১০০%) ভিডিও এসইও অপটিমাইজ করতে হবে। এসইও এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে__ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনি যদি আপনার ভিডিও গুলোকে এসইও অপটিমাইজ করতে না পারেন তাহলে আপনার ভিডিও সার্চ ইঞ্জিনে শো করবে না।

আর সার্চ ইঞ্জিনে যদি আপনার ভিডিও শো না করে তাহলে আপনি সেখান থেকে ভালো কিছুর আশা করতে পারবেন না। তাই, অর্গানিক পদ্ধতিতে মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে ১০০% এসইও স্পেশালিষ্ট হতে হবে। আর না হলে একজন এসইও স্পেশালিষ্ট আপনাকে হায়ার করতে হবে।

ট্রেন্ড ফলো করা: মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন দিকে নজর রাখতে হবে। না হলে আপনি সঠিক উপায়ে মার্কেটিং করতে পারবেন না। মার্কেট এর ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ট্রেন্ড ফলো করা। বর্তমানে কি নিয়ে মানুষের বেশি আগ্রহ তা আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি কোনদিনও মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন না। 

মার্কেটিং এ সফল হতে হলে কিন্তু ট্রেন্ড সহ আরও অন্যান্য বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। একটা উদাহরণ দিলে হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ__ সামনে রমজান আসছে তাই এটা নিয়ে মানুষের এখন বেশি আগ্রহ থাকবে। আপনি যদি এখন থেকে রমজান নিয়ে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করা শুরু করে দেন তাহলে আপনার ব্রান্ড ভ্যালু অনেকেটাই বৃদ্ধি পাবে। সাথে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সেল হওয়ার পসিবিলিটি অনেক বেড়ে যাবে।

ইউটিউব মার্কেটিং করার সুবিধা সমূহ

প্রিয় পাঠক এতোক্ষণ ধরে আমরা ইউটিউব মার্কেটিং এর অনেক গুলো স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব ইউটিউব মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ নিয়ে।

আপনারা যারা ইউটিউব মার্কেটিং করতে চাইছেন তারা যদি সঠিক নিয়ম মেনে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা একে একে জেনে নেই সুবিধা সমূহ

  • অনেক বেশি মার্কেটিং করা যায়
  • অন্যান্য মার্কেটিং অপেক্ষা এই মার্কেটিং অধিক ফলপ্রসূ
  • একটি ক্রিয়েটিভ আউটলেট তৈরি করা সম্ভব
  • মনিটাইজেশন এর সুবিধা রয়েছে
  • পণ্য বা সেবা সেল হওয়ার পসিবিলিটি অনেক বেশি
  • একটা পার্সোনাল ব্রান্ড তৈরি করা যায়।
  • পার্সোনাল ব্রান্ড এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করার ও সুবিধা রয়েছে।
  • সহজেই টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজে পাওয়া যায়।

ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে প্রায়শই আপনাদের জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: আমি কি ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারব?

উত্তর: শুধু আপনি না যে কেউ চাইলে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারবেন। মার্কেটিং সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকলেই আপনি যে কোন ধরনের মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন।

প্রশ্ন ২: ইউটিউব মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে?

উত্তর: ইউটিউব মার্কেটিং আপনি দুইভাবে করতে পারেন। একটি হচ্ছে পেইড মার্কেটিং এবং অপরটি হচ্ছে ফ্রি মার্কেটিং। পেইড মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এবং ফ্রি মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এই নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত জানিয়েছি।

প্রশ্ন ৩: ইউটিউব মার্কেটিং করে কি টাকা ইনকাম করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, আপনি যদি সঠিক নিয়ম মেনে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 

প্রশ্ন ৪: ইউটিউব পেইড মার্কেটিং ভালো নাকি ফ্রি মার্কেটিং ভালো?

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব উভয় ধরনের মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো। তবে, আপনি যদি প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস নিয়ে মার্কেটিং করেন সেক্ষেত্রে পেইড মার্কেটিং এ আপনি সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারবেন। পেইড মার্কেটিং করে দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো সম্ভব।

প্রশ্ন ৫: পেইড মার্কেটিং এর জন্য ডেইলি বাজেট কত রাখব?

উত্তর: যেহেতু আপনি ইউটিউবে পেইড মার্কেটিং করবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে তো একটা বাজেট নির্ধারণ করতেই হবে। তবে আপনি যদি সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় ইউটিউব পেইড মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনি ডেইলি বাজেট ৫$ ডলার রাখতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ইউটিউব মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করবেন ইউটিউব মার্কেটিং এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি আপনাদের। আপনার যদি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং আপনার মন্তব্যটি আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর এই রকম আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে। নতুন কোন পোস্ট পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url