রমজানের সময় সূচি 2024 - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪
২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ? রমজান মাসের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চান । তাহলে, আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের পোস্টে আমরা ২০২৪ সালের প্রবিত্র মাহে রমজান ও তাঁর সময় সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমরা সকলেই জানি, ইসলাম ধর্মে রমজান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আজকের পোস্টে আমরা রমজান কবে এবং সম্ভাব্য একটা সময়সূচি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক রমজানের সময়সূচি সম্পর্কে
পোস্ট সূচিপত্র - ২০২৪ সালের রমজান মাসের সময়সূচি ও তাখির জেনে নিন
ভূমিকা
রোজা ফার্সি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে "দিন"। আর আরবিতে এর নাম সাওম বা সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা।সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। যেহেতু এই আমলটি দিনের শুরু থেকে শেষাংশ পর্যন্ত পালন করা হয় তাই একে রোজা বলা হয়। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলিমের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরয বা অবশ্য পালনীয়।
রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা। সকল প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ এবং অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখে।রমজানের রোজার ফলে প্রত্যেক মুমিন ব্যাক্তিরা নিজেদের শরীর ও মন সতেজ করে তুলে এবং আল্লাহর সান্নিধ্যে পাওয়ার চেষ্টা করে।
▶▶ আরো পড়ুন ঃ যাকাত কাকে বলে? যাকাত কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত জানুন
রমজান মাসের রোজার কারনে মুসলমান ব্যক্তিরা নিজেদের আমলকে পরিষ্কার ও পরিশোধন করে।হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো"(বাকারা-১৮৪)।আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন "তোমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি রমজান মাসে উপস্থিত হয় সে যেন রোজা রাখে।
আর যে ব্যাক্তি অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে সে যেন পরবর্তী দিনগুলোতে আদায় করে"(বাকারা -১৮৬)। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) রমজান মাসের রোজাকে ফরজ আখ্যায়িত করে বলেছেন,"তোমাদের নিকট তাকওয়ার মাস রমজানের আগমন হয়েছে।আল্লাহ তায়ালা এই মাসের রোজা তোমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন"( নাসাঈ, আহমদ, তিরমিজি ,ইবনে মাজা)। রোজার কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ রোজাদারকে প্রকৃত মুসলমান হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
রোজার সময়সূচি ২০২৪
আমাদের এই পোস্টটা ১০০% নাও হতে পারে (এর জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী )। কারণ রমজানের বাকি আরও অনেকদিন আছে। আর এই সময় গুলো নির্ভর করে রমজান মাসের চাঁদ দেখার উপর। আপনারা আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন ,আমাদেরকে সাপোর্ট করে যাবেন।
▶▶ আরো পড়ুন ঃ আকিদা বলতে কি বুঝায় - ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য জানুন
২০২৪ সালের প্রথম রোজা ও শুরুর তারিখ
প্রিয় পাঠক যেহেতু রমজান মাসের প্রথম রোজাটা নির্ভর করে চাদ দেখার উপর তাই ২০২৪ সালের প্রথম রোজা সম্পর্কে একটা সম্ভব্য তারিখ প্রকাশিত হয়েছে তা হল ১২ ই মার্চ। এবং গত বছরের সাথে তুলনা করলে সৌদিআরব সহ মধ্যে প্রাচ্যের দেশগুলোতে এই বছর রোজা হতে পারে ২৯ টি যা গত বছরের অনুরুপ। সেই হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ৯ ই মার্চ।
রমজান মাসের দোয়া
রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। নেয়ামতে ভরপুর এ মাসে নবিজী বিশেষ চারটি আমলের কথা বলেছেন। আমলগুলোর সঙ্গে কিছু দোয়া, জিকির, তাওবাহ ও ইসতেগফার রয়েছে। এর বিনিময়ে রয়েছে বেশকিছু সুখবর। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানকে স্বাগত জানাতে গিয়ে উম্মতে মুহাম্মদির উদ্দেশ্যে এ চারটি
আমলগুলোর দিকনির্দেশনা দিয়েছসেগুলো হল আমল চারটির মধ্যে দুটি মহান আল্লাহর জন্য আর দুটি বান্দার জন্য। হাদিসে এসেছে-
হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘শাবান মাসের শেষ দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য এ মর্মে বক্তব্য দেন যে-
‘হে লোক সকল! অবশ্যই তোমাদের সামনে মহান মাস, বরকতময় মাস উপস্থিত। এ মাসে তোমরা ৪টি আমল বেশি বেশি আদায় করবে। এর মধ্যে দুইটি কাজ আল্লাহর জন্য আর দুইটি কাজ তোমাদের নিজেদের জন্য'। আল্লাহর জন্য আমল ২টি হল
১. কালেমার সর্বোত্তম তাসবিহ- لَا اِلَهَ اِلَّا الله 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ করা।
২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা।
বেশি বেশি ইসতেগফার পড়ার কারনে আল্লাহ তায়ালা আমাদের যাবতীয় সকল প্রকার কর্মকান্ড বরকত দান করবেন।
এ কারণেই কোরআন-সুন্নায় বেশি বেশি তাওবাহ ইসতেগফার করার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কেননা গুনাহমুক্ত জীবনের অন্যতম উপায় হচ্ছে তাওবাহ ও ইসতেগফার করা। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
'যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।' (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
'নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবাহ করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতিত।' (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫-১৪৬)
وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
'হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।' (সুরা নুর : আয়াত ৩১)
তাই তো আল্লাহ বলেন, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইসতেগফার কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।’ ইসতেগফারের কারণে আল্লাহ তাআলা অনেক কঠিন অবস্থা থেকে মানুষকে হেফাজত করবেন।আর বাকি ২ টি আমল হচ্ছে ব্যাক্তিগত।রমজান মাসে বেশি বেশি আমল করে মৃত্যুর পর যেন জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি সেই আশা রাখতে হবে। এবং আল্লাহর কাছে এইভাবে জান্নাত চাইতে হবে, জান্নাত তো মুমিনের আসল ঠিকানা। যে ঠিকানায় বসবাসে মুমিন কখনো বৃদ্ধ হবে না। ব্যবহারের কোনো জিনিসপত্র পুরনো হবে না। যেখানে বিরাজমান থাকবে মধুমিশ্রিত নদী। মদের ফোয়ারা। যে মদ পানে দুনিয়ার মতো মাতাল হবে না মানুষ। সেখানে শেষ হবে না মানুষের যৌবন। হাদিসে এ জান্নাত লাভের প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চায় না আল্লাহ তাআলা তার প্রতি রাগান্বিত হন।’
তাই জান্নাত পেতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা, আকুতি জানাতে হবে। এর সাথে সাথে নিজেদের কে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইতে হবে
আল্লাহর কোনো বান্দা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে, এটা মহান আল্লাহ নিজেও পছন্দ করেন না। পরকালের চিরস্থায়ী জীবন যেন আল্লাহর ভয়াবহ আজাবে পরিণত না হয় সে জন্যই আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হবে। আর ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।
রমজান মাসে করনীয় ও বর্জনীয়
পবিত্র এই রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান।এই মাসে প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের জন্য যেমন করনীয় কিছু নির্ধারিত কাজ রয়েছে তেমনি কিছু কাজ এই পবিত্র মাসে বর্জন করতে হয়।
এই মাসে আমাদের করনীয় কাজ গুলো হল
১.সাওম পালন: ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম একটি ভিত্তি হলো সাত্তম। প্রতিবছর রমজান মাসে একজন সুস্থ সক্ষম মানুষের জন্য সাওম পালন করা ফরজ।সে যদি এই সময়ে কোনো সফরে থাকে তাহলে পরবর্তীতে তা আদায় করতে হবে।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।’(সুরা বাকারা: ১৮৩)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা রমজানের চাঁদ দেখবে তখন রোজা রাখবে। যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখবে তখন থেকে রোজা বন্ধ করবে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন রোজা রাখবে।’ (বুখারি: ১৯০৯)
২.তারাবির নামাজ আদায়: রমজান মাস অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ একটি মাস। এজন্য এ মাসে দিন-রাত উভয়ই ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে। শরীয়ত মতে, দিনে সাত্তম পালন করা ফরজ আর রাতে তারাবির সালাত আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবি আদায় করে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি: ২০০৯)
৩. সেহরি খাওয়া: সুবহে সাদেকের কাছাকাছি সময়ে রোজ পালনের প্রস্তুতি হিসেবে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। সেহরিতে রয়েছে অনেক বরকত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে রয়েছে বরকত। (মুসলিম: ১০৯৫)
৪. ইফতার করা: সারাদিন মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে সাওম পালনের পর সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। ইফতার খেজুর দ্বারা করা মুস্তাহাব। খেজুর না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করবে।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাগরিবের নামাজ পড়ার আগে তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর না পেলে শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর তাও না পেলে এক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন।’ (সুনামে তিরমিজি: ৬৯২)
৫. কুরআন পড়া ও বুঝা: রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন মানবজাতির হেদায়াতের জন্য নাজিল করেছেন। এ কিতাবে রয়েছে হেদায়েতের বাণী।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব, আমি তাকে খাদ্য এবং যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি, অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি (অর্থাৎ না ঘুমিয়ে সে তেলাওয়াত করেছে) অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৬৬২৬)
৬. তওবা-ইস্তিগফার করা: আল্লাহতায়ালা রমজান মাসে অসংখ্যক জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ এ মাসের প্রতিরাতে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ১৮৭৯৪)
৭. ইতেকাফ করা: রমজানের শেষ দশকে আল্লাহতায়ালা বান্দার জন্য হাজার বছরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রাত্রি লাইলাতুল কদর রেখেছেন। হজরত আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি বছর রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি এই নিয়ম পালন করেন। ’(বুখারি)
৮. নফল ইবাদত করা: রমজান মাসে নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। এজন্য এ মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা উচিত। এ মাসে রোজাদারকে ইফতার করা, দান-সদকা করা, বিশ্ব মুসলিম জাতির দোয়া করা উচিত।
এই কাজ গুলো আমাদের রমজান মাসে অবশ্যই পালন করতে হবে।
আর যে কাজ গুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখব সেগুলো হচ্ছে
১. অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা না বলা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কত রোজা পালনকারী এমন আছে, (রোজা অবস্থায় অশ্লীল কথা ও কর্ম থেকে বিরত না থাকার ফলে) ক্ষুধা ও পিপাসা ছাড়া রোজা থেকে সে আর কিছু লাভ করতে পারে না। অনুরূপ অনেক রাত জাগরণকারী এমন আছে যে তার রাত্রিজাগরণ থেকে জেগে থাকার কষ্ট ছাড়া আর কিছু পায় না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৬৯০)
২. মিথ্যা কথা না বলা: মিথ্যাকে সব পাপের জননী বলা হয়। একটি মিথ্যা থেকে শতশত পাপের সূত্রপাত হয়। তাই আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ (সা.) মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে রোজা রেখেছে অথচ মিথ্যাচার পরিহার করেনি, তার এই কৃত্রিম পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। (বুখারি: ১৯০৩)
৩. গীবত থেকে বিরত থাকা: গীবত আমল ধ্বংসের নিরব ঘাতক। গীবতের কারণে কখন যে আপনার আমল ধ্বংস হয়ে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না। গীবত জিনার চেয়েও জঘন্যতম গুনাহ। তাই গীবত পরিহার উচিত।
৪. মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার না করা: আপনার সারাদিনের রোজাকে নষ্ট করার জন্য একটি কারনই যথেষ্ট যদি আপনি মানুষের সাথে কথায় কথায় দু্র্ব্যবহার করেন।এই ধরনের লোককে যেমন মানুষে ভালোবাসে না তেমনি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাও ভালোবাসে না। আল্লাহর নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর নির্দেশনা হচ্ছে, 'যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করলো, তুমি তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করো, আর যে তোমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলো, তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। ' তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিৎ নবী
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আমরা রমজান মাসের সময়সূচি ও একটা সম্ভাব্য তারিখ আপনাদের জানিয়েছি। এছাড়াও আরো জানিয়েছি রমজান মাসের দোয়া , রমজান মাসে কি কি করণীয় ও কি কি বর্জনীয় সেই সকল বিষয়ে। প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং আপনার মতামতটি আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যাঁ, ফিউচার ড্রীম আইটির সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে (আইডি #RITTER001)
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url