প্রথম দিনেই ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয় পর্যটক এক্সপ্রেস
তখনো পূর্ব আকাশে সূর্য মামা জাগেনি। শীতের তীব্র কুয়াশার মধ্যে শুরু হলো আরেকটি নতুন দিগন্তের। চলতে শুরু করল পর্যটন এক্সপ্রেস পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।
বুধবার (১০ই জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৬টায় কামালপুর স্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেনটি। প্রথম দিনেই “পর্যটক এক্সপ্রেস” ১৬টি বগিতে ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। তাদের প্রত্যাশা, যাত্রীসেবার মান থাকুক অনন্য, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক নিরাপত্তার বিষয়টি।
গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর রাজধানীর সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হয় সৈকত শহর কক্সবাজারের। সরাসরি চালু হয় ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রা। ধরা দেয় এক বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। যেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা ছিল বহুবছরের।
সে পালে এবার হাওয়া লাগলো নতুন করে। কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রা শুরু করলো আরেকটি ট্রেন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আদলে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’।
এর আগে ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। এ সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেন বাড়ানো হবে। পাশাপাশি নাশকতা প্রতিরোধে রেলপথে নেয়া হচ্ছে বাড়তি নজরদারি।
সপ্তাহের রোববার বাদে বাকি ছয়দিন ভোর সোয়া ৬টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে কমলাপুর ছাড়বে পর্যটক এক্সপ্রেস। পৌঁছাবে বিকেল ৩টায় আর ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছাড়বে রাত ৮টায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কমলাপুর থেকে কক্সবাজারের নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ৬৯৫ টাকা। এসি শ্রেণির ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা। বিমানবন্দর স্টেশন থেকেও একই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা (কমলাপুর) থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনের নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ৪৫০ টাকা এবং এসি শ্রেণির ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া ৮৫৫ টাকা। একই ভাড়া বিমানবন্দর স্টেশন থেকেও।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ২৫০ টাকা। এসি শ্রেণির ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া ৪৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ফিরতি পথেও একই ভাড়ার হার কার্যকর হবে বলে জানা যায়।
এই রকম আরও তথ্য পেতে গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url