জাতীয় গাছ আম গাছ রচনা | বাংলা ২য় পত্র রচনা ২০২৪
শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিচে আমরা তোমাদের জন্য জাতীয় গাছ : আম গাছ রচনাটি শেয়ার করেছি। তোমরা যারা যারা এই রচনাটি পড়তে চাও তাঁরা চাইলে পড়ে নিতে পার।
এছাড়াও তোমাদের যদি আরও কোনো পছন্দের রচনা থাকে তাহলে সেটি তোমরা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পার। আমরা সেটিও সংগ্রহ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
জাতীয় গাছ : আম গাছ
প্রাকৃতিক অবারিত সৌন্দর্যের লীলানিকেতন বাংলাদেশ। এখানে ছায়া ঢাকা বন-বনানী আর সবুজ শ্যামলিমা আমাদের মনকে আকুল করে। অন্যদিকে, হাজারো বৃক্ষের স্নেহময় দানে আমরা উপকৃত হই। বাংলাদেশে নানা আকৃতির নানা প্রকৃতির নানা বৈশিষ্ট্যের এবং বিচিত্র সব উপকারী গাছ রয়েছে। সৌন্দর্য ও প্রয়োজনীয়তার অপূর্ব সমারোহে আম গাছ আমাদের জাতীয় গাছ ।
পূর্ব ভারতে বিশেষ করে বাংলাদেশ, আসাম ও মায়ানমারের আদিবৃক্ষ হলো আম গাছ। ‘আম' শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ সংরক্ষিত খাদ্য। আম ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন বৃক্ষ। প্রাচীন চীনা পর্যটক হিউয়েন সাংও আমের খুব প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে কয়েক হাজার প্রজাতির গাছ রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যে গাছটি রয়েছে তা হলো আম গাছ। বাঙালিদের ঐতিহ্যের একটি অংশ আম গাছ ।
আরো পড়ুন ঃ রচনা সোনালি আঁশ পাট
খুব বড় আকৃতির গাছ আম গাছ। পূর্ণ বয়স্ক আম গাছ বিশ মিটার লম্বা ও ত্রিশ মিটার প্রশস্ত হতে পারে। পূর্ণ বয়স্ক আম গাছ দেখতে ছাতার মতো মনে হয়। কিন্তু কচি অবস্থায় আম গাছ দেখতে একদমই অন্যরকম।
আম গাছ চির সবুজ বৃক্ষ। কচি অবস্থায় এই গাছের পাতা হালকা সবুজ ও পরিণত হলে ঘন সবুজ হয়। আম গাছের কাঠ খুবই শক্ত হয়। কাঠ দিয়ে ঘরের খাম, নৌকা, বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। আম গাছের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর ফল।
আম গাছের ফুলগুলো গুচ্ছ অবস্থায় লতার মতো ঝুলে থাকে । হলুদাভ সাদা রঙের এই ফুলগুলোকে বলা হয় মুকুল। চৈত্র-বৈশাখ মাসে আম গাছে মুকুল আসে, এই মুকুলের গন্ধ খুবই সুমিষ্ট যা চারপাশে মাতাল করা পরিবেশ সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুন ঃ আমার দেখা একটি গ্রাম্য মেলা রচনা
বলা হয়ে থাকে,
বৃক্ষ তোমার নাম কি?
ফলে পরিচয়.............।
আম গাছের মূল পরিচয় মূলত এর ফলে। আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যা অন্য ফলের সাথে বৈচিত্র্যে অনন্য। কাঁচা আম শক্ত ও টক স্বাদ যুক্ত এবং সবুজ রঙের। আর পাকা আম নরম ও রসালো এবং সবুজাভ হলুদ, হলুদ, কমলা ইত্যাদি রঙ ধারণ করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির ও বিভিন্ন আকৃতির আম পাওয়া যায়। আকৃতিতে আম ডিম্বাকৃতি, গোল ও লম্বা হয়। আর নানা প্রজাতির আমের মধ্যে রয়েছে ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, মোহনভোগ, হিমসাগর, খিরসা, আম্রপলি, ইত্যাদি। বাংলাদেশে সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সব অঞ্চলেই আম পাওয়া যায়। তবে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও দিনাজপুরের আম বিখ্যাত ।
আম গাছের বিবিধ ব্যবহারের কারণে এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ। আম গাছের কাঠ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি এর ফল আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশে আমের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানি করেছে।
আরো পড়ুন ঃ আমাদের গ্রাম রচনা
আমাদের দৈনন্দিন ও অর্থনৈতিক জীবনে আম গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে আম গাছের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। কারণ, বিশ্বের দরবারে এই গাছ আমাদের করেছে সুপরিচিত। দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বাহক হিসেবে আম গাছ নিঃসন্দেহে জাতীয় গাছের মর্যাদার যোগ্য।
[বিঃদ্রঃ-এটি নন্দন গাইড বই থেকে সংগৃহীত]
সবগুলো রচনা একসাথে দেখতে এখানে চাপ দিন
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url