বাংলাদেশের ফল রচনা | বাংলা ২য় পত্র রচনা ২০২৪
শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিচে আমরা তোমাদের জন্য বাংলাদেশের ফল রচনাটি শেয়ার করেছি। তোমরা যারা যারা এই রচনাটি পড়তে চাও তাঁরা চাইলে পড়ে নিতে পার।
এছাড়াও তোমাদের যদি আরও কোনো পছন্দের রচনা থাকে তাহলে সেটি তোমরা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পার। আমরা সেটিও সংগ্রহ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশের ফল
ভূমিকা ঃ অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ বাংলাদেশ। বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি এখানে নতুন নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে আমাদের জন্য নতুন নতুন উপহার নিয়ে হাজির হয় । তাই ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে আমরা পাই ভিন্ন ভিন্ন ফলের সমারোহ।
গ্রীষ্মকালের ফল ঃ এদেশে গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, বেল প্রভৃতি। আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও রসালো ফল। বাংলাদেশে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, রংপুরে উন্নত জাতের আম পাওয়া যায়। নানা জাতের আমের মধ্যে ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ, খিরসাপাত প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল অত্যন্ত সুস্বাদু। ঢাকা, সিলেট, রংপুর ও চট্টগ্রামে প্রচুর কাঁঠাল পাওয়া যায়। লিচু রসালো ফল। লিচুর টসটসে রস আর পুরু কোষ অত্যন্ত সুস্বাদু। আমাদের দেশে রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলে রসালো ও সুমিষ্ট লিচু পাওয়া যায়। বেল প্রায় সারাদেশেই জন্মে। বেলের শরবত উৎকৃষ্ট পানীয় ।
আরো পড়ুন ঃ জাতীয় গাছ আম গাছ রচনা
বর্ষাকালের ফল ঃ বর্ষা আমাদের বিভিন্ন ফল উপহার দেয়। পেয়ারা, আনারস, আমড়া, কাগুজি লেবু, বাতাবি লেবু ইত্যাদি বর্ষাকালীন ফল। পেয়ারা উৎকৃষ্ট ও সুস্বাদু ফল। সব এলাকাতেই পেয়ারা জন্মে। তবে বরিশালে উন্নতজাতের পেয়ারা জন্মে । পেয়ারা বিভিন্ন রকমের হয়। কাজি পেয়ারা সবচেয়ে বড় জাতের পেয়ারা। রসালো ফল আনারস। সিলেট, মধুপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর জন্মে। আমড়া একটি মুখরোচক ফল। এটি বরিশালে বেশি জন্মে । লেবু ও বাতাবি লেবু টক ফল। এটি প্রায় সারাদেশেই জন্মে। আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি ফল এ সময় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
শরৎকালের ফল ঃ শরতে তাল, নারকেল, আতা, চালতা, জাম্বুরা, কতবেল ইত্যাদি নানা ধরনের ফল পাওয়া যায়। যদিও এ সময় ফলের সমারোহ কম থাকে তবুও চারদিক তালের পিঠা খাবার ধুম পড়ে যায়। তাল রসালো ফল। বাংলাদেশের সব এলাকাতেই তাল জন্মায়। শরতের ফল জাম্বুরা একটি জনপ্রিয় ফল।
হেমন্তকালের ফল ঃ হেমন্তে ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্নের উৎসব। নবান্ন উৎসবের সঙ্গে বাড়তি যোগ হয় তাল, নারকেল, যা আমাদের চিরাচরিত উৎসবকে করে প্রাণবন্ত ও সজীব। এ ছাড়া জলপাই, কামরাঙা, ডালিম প্রভৃতি ফল হেমন্তকালে পাওয়া যায়। নারকেল গাছ প্রায় সারাদেশেই জন্মে। তবে বাংলাদেশের দক্ষিণ এলাকায় বেশি নারকেল গাছ দেখা যায় ।
আরো পড়ুন ঃ রচনা সোনালি আঁশ পাট
শীতকালের ফল ঃ শীতকালে প্রচুর ফল জন্মে। যেমন : কমলা, কলা, আঙুর, বেদানা, কামরাঙা, পেস্তা, বাদাম ইত্যাদি ফল বাজারকে আকর্ষণীয় করে তোলে। সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর কমলা জন্মে । কামরাঙা বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই জন্মায় ।
বসন্তকালের ফল ঃ ঋতুর রাজা বসন্তকালে প্রকৃতি সৌন্দর্য, সৌরভ ও মাধুর্যে ভরপুর থাকে। এ সময় খুব একটা ফল পাওয়া যায় না । এ সময়কার ফলের মধ্যে তরমুজ, ফুটি, বেল প্রধান
উপকারিতা ঃ ফলের উপকারিতা অবর্ণনীয়। বিভিন্ন রকম খাদ্যে বিভিন্ন রকম খাদ্যপ্রাণ বিদ্যমান যা শরীরের গঠন, বৃদ্ধি ও পুষ্টি সাধনের জন্য বিশেষ সহায়ক। তাছাড়া বিভিন্ন ফল থেকে বিভিন্ন রকমের উপাদেয় খাদ্য তৈরি করা যায় যা মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তিতে বিশেষ গুরুত্বপূ র্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন ঃ আমার দেখা একটি গ্রাম্য মেলা রচনা
উপসংহার ঃ ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বারো মাসই কোনো না কোনো ফল পাওয়া যায়। তবে বর্তমান বাংলাদেশে ফল চাষে উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বাড়তি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে প্রতিনিয়ত কেটে ফেলা হচ্ছে মূল্যবান ফলের গাছ। ফলে ফল গাছ শূ ন্য হয়ে পড়ছে এদেশের প্রতিটি বাড়ি। এমন করুণ ও হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে ক্রম উত্তরণের লক্ষ্যে ব্যক্তি, সমাজ, জাতি তথা দেশের স্বার্থে আমাদের ফল গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ফল গাছ রোপণের আন্দোলন এবং এজন্য স্লোগান হওয়া চাই -
‘আর নয় বৃক্ষ নিধন
সবার আগে চাই ফলগাছ রোপণ ।’
[বিঃদ্রঃ-এটি নন্দন গাইড বই থেকে সংগৃহীত]
সবগুলো রচনা একসাথে দেখতে এখানে চাপ দিন
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url