জাতীয় ফুল শাপলা রচনা class 3-10 | বাংলা ২য় পত্র রচনা ২০২৪

শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিচে আমরা তোমাদের জন্য জাতীয় ফুল : শাপলা রচনাটি শেয়ার করেছি। তোমরা যারা যারা এই রচনাটি পড়তে চাও তাঁরা চাইলে পড়ে নিতে পার।

জাতীয় ফুল শাপলা রচনা class 3

এছাড়াও তোমাদের যদি আরও কোনো পছন্দের রচনা থাকে তাহলে সেটি তোমরা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পার। আমরা সেটিও সংগ্রহ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

জাতীয় ফুল : শাপলা

সূচনা ঃ ষড়ঋতুর পালাবদলে আমাদের দেশের জলে-স্থলে-বনে-কুঞ্জে অসংখ্য ফুলের সমারোহ দেখা যায়। ফুল প্রকৃতির পরম সম্পদ। বাংলাদেশের অসংখ্য ফুলের মধ্যে শাপলা সবচেয়ে পরিচিত ফুল। আমাদের দেশে শাপলা ফুলকে আমরা বরণ করেছি জাতীয় ফুল হিসেবে।

বিবরণ ঃ শাপলা এক প্রকার জলজ ফুল। এ ফুল বিলে-ঝিলে, পুকুরে-ডোবায়, খালে-নালায় সর্বত্রই ফোটে। তবে বদ্ধ পানিতেই শাপলা ফুল বেশি ফোটে। বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন খাল-বিল-পুকুর পানিতে ভরে যায় তখনই শাপলা মাটির ভেতর থেকে অঙ্কুরিত হয়। এর মূল থাকে মাটির নিচে। বর্ষার জলের স্পর্শ পেয়ে এর ডাঁটা বের হয়। মূলের ভেতর থেকে সরু নলের মতো একটি দণ্ড উঠে এসে জলের ওপরে কালচে সবুজ বিশাল পাতা ছড়িয়ে দেয়। এভাবে এক একটি মূল হতে বেশ কয়েকটি শাখা উঠে এসে পাতায় পাতায় জলাশয় ভরে তোলে। তারপর ফুলের কুঁড়ি নিয়ে শাপলার ডাঁটা মাথা তোলে জলের ওপরে। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই নিজে নিজেই বিকশিত হয়ে শাপলা ফুল প্রকৃতিকে শোভাময় করে তোলে ।

আরো পড়ুন ঃ বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান

প্রকৃতি ঃ শাপলা একটা পদ্ম গোত্রীয় ফুল। এ ফুলের সুগন্ধ তেমন নেই বটে কিন্তু এটা দর্শনীয়। এ ফুলের কাণ্ড জলের তলায় থাকে অথচ এর পাতা ও ফুল জলের ওপর ভেসে থাকে। একটি দণ্ডের ওপর ফুটে ওঠা এ ফুলের এক একটি স্তরে কয়েকটি পাঁপড়ি আছে।

প্রকারভেদ ঃ আমাদের দেশে তিন রকমের শাপলা জন্মে থাকে। যেমন- সাদা, লাল ও নীল। তবে সাদা শাপলাই দেশব্যাপী বেশি দেখা যায় এবং সাদা শাপলাকেই জাতীয় ফুল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

সৌন্দর্য ঃ শাপলার বৈশিষ্ট্য তার স্নিগ্ধ হাস্যময় রূপ। বর্ষাকালে গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল, পুকুর-ডোবা টলমল জলে ফুটন্ত শাপলা ফুলগুলো যেন চাঁদের মতো হাসতে থাকে। এ সৌন্দর্য মন ভরিয়ে দেয়। শাপলা ফুল আমাদের সহজ-সরল জাতীয় জীবনের প্রতীক। আমাদের টাকায় ও পোস্টকার্ড ইনভেলাপে প্রস্ফুটিত শাপলার ছাপ তার প্রমাণ বহন করে।

আরো পড়ুন ঃ বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল রচনা

উপকারিতা ঃ শাপলা ফুল আমাদের মনোরঞ্জন করে। গ্রামবাংলার ছেলে-মেয়েরা শাপলা ফুল দিয়ে নানাভাবে সাজগোজ ও খেলাধুলা করে। উৎসবে আয়োজনে শাপলা দিয়ে মঞ্জু ইত্যাদি সাজানো হয়। খাদ্য হিসেবে শাপলার কোমল ডাঁটা বেশ মুখরোচক। তাছাড়া শাপলা ফুলের দানার খৈ (ঢ্যাপের খৈ) গ্রামবাংলার শিশু-কিশোরদের কাছে খুবই প্রিয় ।

অপকারিতা ঃ শাপলা আমাদের ধান ক্ষেতেও প্রচুর জন্মায়। ফলে ধানের চারা বাড়তে পারে না। কৃষকেরা তখন বাধ্য হয়ে শাপলা তুলে ফেলে।

উপসংহার ঃ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্ত আয়োজনে শাপলা একটি সুলভ ফুল। শাপলার নিরাভরণ সহজ সৌন্দর্য দেখে আমাদের চোখ জুড়ায়, প্রাণ জুড়ায়। তাই শাপলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক ।

[বিঃদ্রঃ-এটি নন্দন গাইড বই থেকে সংগৃহীত]

সবগুলো রচনা একসাথে দেখতে এখানে চাপ দিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url