বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল রচনা | বাংলা ২য় পত্র রচনা ২০২৪

শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিচে আমরা তোমাদের জন্য জাতীয় ফল : কাঁঠাল রচনাটি শেয়ার করেছি। তোমরা যারা যারা এই রচনাটি পড়তে চাও তাঁরা চাইলে পড়ে নিতে পার।

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল রচনা

এছাড়াও তোমাদের যদি আরও কোনো পছন্দের রচনা থাকে তাহলে সেটি তোমরা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পার। আমরা সেটিও সংগ্রহ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

জাতীয় ফল : কাঁঠাল

সূচনা ঃ সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এ বাংলাদেশে। বিভিন্ন ঋতুতে এদেশে অসংখ্য ফলের সমারোহ দেখা যায়। অসংখ্য ফলের মধ্যে কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি মানুষেরই প্রিয় এ ফল।

প্রাপ্তিস্থান ঃ কাঁঠাল বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার আদিম ফল। তাছাড়া মিয়ানমার, মালয় ও ব্রাজিলে প্রচুর কাঁঠাল উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশে সর্বত্রই প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যায় ।

প্রকারভেদ ঃ কাঁঠালের নির্দিষ্ট কোনো জাত নেই। তবে দু ধরনের কাঁঠাল দেখতে পাওয়া যায়। যেমন- খাজা ও রসা।

আরো পড়ুন ঃ বাংলাদেশের ফল রচনা

চাষের নিয়ম ঃ উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু কাঁঠাল চাষের জন্য উপযোগী। এঁটেল-দোআঁশ মাটি কাঁঠাল চাষের জন্য ভালো। কাঁঠালের বিচি কোষশুদ্ধ রোপণ করা ভালো। কাঁঠালের বীজ বপনের আগে গর্তের নিচে পনেরো কেজি পরিমাণ কাঁচা গোবর মেশালে ভালো হয়। 

বর্ণনা ঃ কাঁঠাল আমাদের দেশের একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। ফাল্গুন মাসে কাঁঠালের গাছে অঙ্কুরের মতো কাঁঠাল দেখা দেয় এবং ক্রমে তা বড় হয়ে পূর্ণ কাঁঠালে রূপ নেয়। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে পূর্ণ আকৃতি পায় এবং পাকতে শুরু করে। কাঁঠালের গায়ে প্রচুর ছোট ছোট কাঁটা থাকে। কাঁঠালের আকার সুনির্দিষ্ট থাকে না। ওজনের দিক থেকে ও কমপক্ষে দু-এক কেজি থেকে শুরু করে বিশ-ত্রিশ কেজি বা কখনো কখনো তারও বেশি ওজনের হয়ে থাকে।

কাঁঠাল গাছ বেশ বড় হয়। চারা রোপণের পর উপযুক্ত যত্ন পেলে তিন-চার বছর পরেই সাধারণত গাছে কাঁঠাল দেখা দেয়। সাধারণত উঁচু জায়গায় কাঁঠালের গাছ ভালো জন্মায়। নিচু জায়গায় যেখানে পানি আটকে থাকে সেখানে কাঁঠাল গাছ বাঁচে না ।

আরো পড়ুন ঃ জাতীয় গাছ আম গাছ রচনা

উপকারিতা ঃ জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠালকে নির্বাচনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কাঁঠাল স্বাদে-গন্ধে একটি অনন্য ফল। কাঁঠাল একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খাওয়া যায়। কাঁঠাল এমন একটি ফল যার বিচিও ফেলা লাগে না। কাঁঠালের বিচি নানাভাবে খাওয়া যায় । কাঁঠালের বিচির তরকারি খুবই পুষ্টিকর।

অপকারিতা ঃ বেশি কাঁঠাল খেলে বদহজম হতে পারে। কাঁঠাল সহজে হজম হয় না। তাই বেশি কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় ।

উপসংহার ঃ ফল হিসেবে কাঁঠাল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কেননা কাঁঠাল শরীরে প্রচুর পুষ্টি যোগায়। তাই এ ফলের অধিক উৎপাদনে এবং একে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত। 

[বিঃদ্রঃ-এটি নন্দন গাইড বই থেকে সংগৃহীত]

সবগুলো রচনা একসাথে দেখতে এখানে চাপ দিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url