অনুচ্ছেদঃ শৃঙ্খলাবোধ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

অনুচ্ছেদ রচনা

শৃঙ্খলাবোধ

মানবজীবনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পরিবার, সমাজ ও জাতীয় পর্যায়ে কিছু ইতিবাচক রীতিনীতি, নিয়ম-প্রথা ও আইন-কানুন সুচারুভাবে মেনে চলার মানসিকতাই হলো শৃঙ্খলাবোধ। এটা মানবজীবনের একধরনের কল্যাণমুখী বন্ধন। ব্যক্তিজীবনের সুষ্ঠু বিকাশে, নানাবিধ সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য সঠিক নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করতে হয়। প্রচলিত কল্যাণকর নিয়ম-কানুন পালন করে শৃঙ্খলাবোধকে সমুন্নত রাখতে হয়। শৃঙ্খলাবোধ মানুষের জীবনকে শান্ত, সুস্থির, ফলপ্রসূ করে তোলে। মানুষের ব্যক্তিত্ব, মনুষ্যত্ব ও প্রতিভা বিকশিত হতে সহায়তা করে । এভাবেই মানুষের কল্যাণ ও উন্নতি নিশ্চিত হয়। নিয়ম-শৃঙ্খলার অভাব হলে, পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা হলে, স্নেহ ও সম্মান যথাযথ না হলে সর্বত্র দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও স্বেচ্ছাচারিতা। এর ফলে ব্যক্তি, সমাজ তথা জাতীয় জীবনের সুখ, শান্তি, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, উন্নতি ও অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ে। যে সমাজে বড়দের সম্মান করা হয় না এবং ছোটদের স্নেহ করা হয় না, সেই সমাজ দ্রুত ভেঙে পড়ে। উত্তম নৈতিক চরিত্র, পারস্পরিক সুন্দর আচরণ, মানবীয় শুদ্ধতা শৃঙ্খলাবোধকে শক্তিশালী করে। জীবনের গঠনপর্বে অর্থাৎ শিক্ষাজীবনেই শৃঙ্খলাবোধকে আয়ত্ত করতে হবে, লালন ও পালন করতে হবে। তাহলেই ছাত্রজীবন হয়ে উঠবে সুনাগরিক তথা মহৎ মানুষ হওয়ার কার্যকর সোপান। পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের জন্য কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। সমাজ থেকে উচ্ছৃঙ্খলতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিপনা, দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব সমূলে উচ্ছেদ করতে হলে সর্বত্র শৃঙ্খলাবোধকে জাগিয়ে তুলতে হবে। দুর্নীতিপরায়ণ ও অসুস্থ সমাজ যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে সুশৃঙ্খল সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা শৃঙ্খলাবোধকে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে কার্যকর করতে সক্ষম হব। [বিঃ দ্রঃ এটি লেকচার গাইড বই থেকে সংগ্রহীত]

আরো পড়ুন ঃ স্বাধীনতা দিবস | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url