(৩টি অনুচ্ছেদ) আমার প্রিয় শখ বই পড়া, বাগান করা ও ছবি আঁকা

আমার প্রিয় শখ অনুচ্ছেদ

শিক্ষার্থীরা আজকের পোস্টে “আমার প্রিয় শখ” নিয়ে তোমাদের জন্য ৩ টি অনুচ্ছেদ সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। এই ৩ টি অনুচ্ছেদ থেকে তোমার যে কোনো একটি পড়তে পারো চাইলে তিনটিই পড়তে পারো

অনুচ্ছেদ ১ অনুচ্ছেদ ২ অনুচ্ছেদ ৩

আমার প্রিয় শখ অনুচ্ছেদ ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ সকল শিক্ষার্থীদের জন্য


আমার প্রিয় শখ বাগান করা অনুচ্ছেদ

শখ হচ্ছে একটি প্রিয় কাজ যা করে আনন্দ পাওয়া যায়। এটা কোন স্বাভাবিক কাজকর্ম নয়। প্রত্যোক মানুষের নিজস্ব কিছু আলাদা আলাদা শখ থাকে। এমনকি আমার নিজেরও কিছু শখ রয়েছে। আর সেইগুলোর মধ্যো একটা আমার খুব প্রিয়, সেটা হচ্ছে বাগান করা। এই শখটা আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি এটা এই জন্যই করি যে, কারণ এটা করে আমি যেমন আনন্দ উপভোগ করি একই সাথে এটার মধ্যে দিয়ে আমার ব্যায়াম করাও হয়ে যায়। এটা করার মধ্যে দিয়ে আমার শারীরিক ও মানসিক দুই প্রকারের উপকার হয়। এছাড়াও গাছ লাগানো বা বাগান করা জাতি হিসেবে আমাদের অন্যতম কর্তব্য। এই গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। এতে যেমন আমাদের উপকার হয় তেমনি পরিবেশের ভারসাম্যও সংরক্ষিত হয়। আমার যখন মন ভালো থাকে না তখন আমি বাগানে গিয়ে বসে থাকি। বলতে গেলে আমার অবসর সময় গুলো আমি বাগানে কাটাই। আমি দিনে দুবার বাগানে যাই এবং ছোট ছোট চারাগুলোর যত্ন নিই এবং নিয়ম করে দিনে দুবার গাছে পানি দিই। আর এটাকে আমি স্বাভাবিক ভাবেই নিই। আমরা শখের মধ্যে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো আমি বাগান থেকে বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফল পাই। এতে আমাদের পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়। আমার এলাকার অনেক লোকজন আমার বাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এমনকি তাদের মধ্যে অনেকেই এখন বাগান করছেন। আমি আমার শখের পেছনে কেবল আমার অবসর সময় গুলো কাটাই। আমি আমার শখের পাশাপাশি জোরেসোরে আমার পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাচ্ছি। কাজেই কেউ যদি বাগান করাকে শখ হিসেবে নিতে চায়, তাহলে আমি বলব কোনো কিছুর ক্ষতি না করেও তা করা সম্ভব।

D O W N L O A D N O W


আমার প্রিয় শখ বই পড়া অনুচ্ছেদ

বই পড়া একটি ভালো অভ্যাস। বই পড়ার মধ্যে দিয়ে অনেক জানা ও অজানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। অবসর সময়ে গ্রন্থ পাঠের মধ্যে দিয়ে মানুষের উন্নত মানসিকতার সৃষ্টি হয়। শখের বশে মানুষ কতো কিছুই না করে থাকে। একেক মানুষের শখ একেক রকমের। যেমন আমার প্রিয় শখ হচ্ছে বই পড়া। মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী । এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে আনন্দ ও জ্ঞান অর্জনের অন্যতম উপায় হচ্ছে গ্রন্থ পাঠ। উৎকৃষ্ট বই মানুষকে জ্ঞান দানের পাশাপাশি আনন্দ ও প্রকৃত সুখ দান করে। বিচিত্র বিষয়ে বই রচিত হয়। বই পড়ার মাধ্যমে ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে অধিক জ্ঞান লাভ করা যায়। অবসর সময়ে আমি বই পড়তে ভালোবাসি। বই পড়ে আমি আনন্দ ও জ্ঞান দুটোই অর্জন করতে পারি। সোফোক্লিস ও রাজা ইডিপাস পড়ে আমার মন ট্র্যাজিডিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আবার অন্য দিকে জীবনানন্দ দাশ ও পল্লী কবি জসীম-উদ্দিনের বই সমূহে আমি প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য ও মানবজীবনের সম্পৃক্ততা দেখি। বই পড়ে আমি নিজের মাঝে নতুন নতুন ভুবন সৃষ্টি করতে পারি। এছাড়াও বই পড়ার ক্ষেত্রে আমরা বাবাও আমাকে সাহায্য করেন। তিনি আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে বই সংগ্রহ করে এনে দেন। বইয়ের মাধ্যমে আমরা সে-কালের মনীষীদের সংস্পর্শে আসতে পারি। বই পড়ে যে জ্ঞান আহরণ করা যায় তার মূল্য অসীম। জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি মনের তৃষ্ণা মেটাতে বই পড়া অন্তত প্রয়োজনীয়। বই মানুষকে শিষ্টাচার শেখায়। বই মানুষের মনের মধ্যে ভক্তি, সহানুভূতি, প্রেম-ভালোবাসা, প্রভৃতি জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আমরা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে প্রকৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই গুলো। বই পড়ার পাশাপাশি বই সংগ্রহ করাটাও কিন্তু একটা শখ। বইয়ের নেতিবাচক দিক থেকে ইতিবাচক দিকই সবচেয়ে বেশি। তাই আমি আমার প্রিয় শখ হিসেবে বই পড়াকেই বেঁচে নিয়েছি। 

D O W N L O A D N O W


আমার প্রিয় শখ ছবি আঁকা অনুচ্ছেদ

ছবি আঁকা একটি শখের বিষয়। মানুষ তার নিজের মনের ভাবনাকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে। যারা ছবি আঁকেন তাদের কে বলা হয় চিত্রশিল্পী এবং তাদের আঁকা ছবি হলো শিল্প। একেক মানুষের একেক রকমের শখ বা ইচ্ছা থাকে। যেমন আমার প্রিয় শখ হচ্ছে ছবি আঁকা। আমি আমার অবসর সময় গুলো ছবি আঁকার পিছনে ব্যায় করি। ছবি আঁকা একটি আশ্চর্য রকমের সৃষ্টি। একজন শিল্পী রং, তুলির মাধ্যমে প্রতিটা ছবিকে জীবন্ত আকারে উপস্থাপন করে। আমাদের দেশে ছবি আঁকা শিল্পটি গুরুত্বের তুলনায় এখনও সঠিক মর্যাদা পায় নি। বহির্বিশ্বের এই শিল্পকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়। শুধুমাত্র রংতুলি থাকলেই ছবি আঁকা যায় না। ছবি আঁকতে প্রয়োজন হয় আঁকার মানসিকতা ও প্রতিভার। পৃথিবীতে কে প্রথম ছবি এঁকেছেন তা বলা মুশকিল তবে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে পেনে আল তামিরা নামক এক গুহায় সর্বপ্রথম মানুষের আঁকা ছবির সন্ধান পাওয়া যায়। ছবি আঁকার মধ্যে দিয়ে শিশু কিশোরদের কল্পনা শক্তি প্রকাশ ঘটে। আমাদের দেশেও বেশ কয়েকজন চিত্রশিল্পী রয়েছে। তাঁরা তাঁদের আঁকা ছবির মধ্যে দিয়ে খ্যাতি লাভ করছে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত ছবি “দুর্ভিক্ষ” দেখে মানুষের মনে আজও বেদনার চাপ ফুটে ওঠে। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কালজয়ী ছবি “মোনালিসা” যুগ যুগ ধরে বিশ্ববাসীর হৃদয়ে জাগ্রত হয়ে আছে। এছাড়াও বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন চিত্রশিল্পী রয়েছেন তাঁরা হলেন কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, মোস্তফা মনোয়ার, মুর্তজা বশীর, কাইয়ুম চৌধুরী প্রমুখ।

D O W N L O A D N O W

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url