অতিথি পাখি অনুচ্ছেদ রচনা Class 5, 6, 7, 8, 9, 10
শিক্ষার্থীরা নিচে “অতিথি পাখি” নিয়ে তোমাদের জন্য দুটি অনুচ্ছেদ সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি থেকে তোমার যে কোনো একটি পড়তে পারো চাইলে দুটিই পড়তে পারো
অনুচ্ছেদ ১ অনুচ্ছেদ ২অতিথি পাখি অনুচ্ছেদ ১
প্রতি বছর শীতকালে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে অতিথি পাখি এসে আমাদের দেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। এসব পাখি একদিকে যেমন আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসব পাখি। আমরা যেমন অতিথিদের সঙ্গে সৌন্দর্যপূর্ণ আচরণ করি, তেমনি এই পাখিগুলোকেও আমাদের অতিথি মনে করে তাদের সাথেও সৌন্দর্যপূর্ণ আচরণ করা উচিত।কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসব পাখিদের শিকার করে কাঁচা বন্দি করে। আবার অনেক মাংসলোভী লোক এদের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করে। ভাবতে অবাক লাগে যে, হাজার হাজার পথ পাড়ি দিয়ে যে পাখিরা আমাদের দেশে আসে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে, তারাই তাদের অস্তিত্ব বিসর্জন দেয় খারাপ হৃদয়হীন লোকদের খাবার টেবিলে। অথচ মানুষের কর্তব্য অতিথি পাখিদের অতিথি জ্ঞান করে তাদের সম্মান জানানো। তাদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা। তাদের আশ্রয় কালীন সময়টুকুকে নিরাপদ ও আনন্দ ময় করে তোলা। আর এসব করার জন্য মানুষকে তার লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে তার মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করে তুলতে হবে। বিচিত্র এসব পাখি যেন কারও খাদ্যে পরিণত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃতির এই ভারসাম্য রক্ষায় মানুষকে আরও সজাগ ও সচেতন হতে হবে। পাখিরা পাখনায় ভর করে সুদূরের গন্ধ বয়ে নিয়ে আসে, তাদের স্তব্ধ করার কোনো সভ্য মানুষের অধিকার নাই। তাই শীতের অতিথি পাখিদের সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের সকলকে আরো সচেতন হতে হবে। একই সাথে এসব পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থাও নিতে হবে।
D O W N L O A D N O Wঅতিথি পাখি অনুচ্ছেদ ২
শীতকালে আগমনরত একধরনের পাখিকে অতিথি পাখি বলে সম্বোধন করা হয়। সাধারণত এই পাখি গুলো সারাবছর নিজেদের আবাসস্থলে বসবাস করে। শুধুমাত্র শীতের সময় এদের আগমন লক্ষ্য করা যায়। বরফাচ্ছন্ন শীতপ্রধান অঞ্চলের ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে আসে নাতিশীতোষ্ণ আবাহাওয়ার দেশ বাংলাদেশে। শীতের শুরুতে এই অতিথি পাখিদের আগমন দেখা যায় এবং শীত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরা এদের নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যায়। এই পাখি গুলো অল্প সময়ের জন্য আমাদের দেশে অবস্থান করে বলে এরা আমাদের অতিথি স্বরূপ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অতিথি পাখিদের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায় যেমন ঃ দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন, সুনামগঞ্জের হাওরা, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা চিড়িয়াখানার জলাশয় গুলোতে এরা সাময়িক আবাস গড়ে তোলে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, যশোর ও খুলনার বিলগুলোতেও অনেক অতিথি পাখি আশ্রয় গ্রহণ করে। পুরো শীত জুরে বিভিন্ন জলাশয়ের ধারে থাকে এই অতিথি পাখিদের বিচরণ । মূলত হিমালয়ের ঠান্ডা হাওয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে এরা আমাদের দেশে সাময়িক সময়ের জন্য আবাস গড়ে তোলে। এই অতিথি পাখি গুলোর মধ্যে কাইন, বালিহাঁস, রাঙ্গো, ডাক, চখাচখি, কোড়া, কুদলা, টেকুর, হাঁস জাতীয় পাখি, বড় দিঘির গুলিন্দা ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য। এসব পাখি একদিকে যেমন আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর হাত থেকে রক্ষা পায় না দূর প্রবাসের এই অতিথি পাখি গুলো। তারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এদের কাঁচা বন্দি করে রাখে। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে যেসব পাখি আসে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে , সেগুলো বিসর্জন দেয় হীন শিকারির কবলে পড়ে। তাই এসব অতিথি পাখিদের সংরক্ষণে এবং রক্ষার্থে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। একই সাথে শিকারিদের তাদের এই হীন কার্যের জন্য দন্ড দিতে হবে।
D O W N L O A D N O W
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url