অনুচ্ছেদঃ জাতীয় পতাকা | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

অনুচ্ছেদ রচনা

অনুচ্ছেদ সূচিপত্র ঃ

অনুচ্ছেদ ১ম

অনুচ্ছেদ ২য়

জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা যেকোনো দেশের স্বাধীনতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ঐতিহ্যের প্রতীক। আমাদের জাতীয় পতাকাও অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত । এ পতাকা স্বাধীনতা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক । আমাদের কাছে এ পতাকা অত্যন্ত প্রিয় ও পবিত্র। আমাদের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬। পতাকার মাঝখানের লাল বৃত্তটির পরিমাপ দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। আমাদের জাতীয় পতাকার রং গাঢ় সবুজ এবং মাঝখানে লাল বৃত্ত। সবুজ হচ্ছে সজীবতা ও প্রাচুর্যের প্রতীক, আর উদীয়মান লাল সূর্য রক্তাক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবাহী । সবুজ অর্থ শস্যের প্রাচুর্য, জীবনের উচ্ছলতা ও তারুণ্যের অফুরন্ত আনন্দ। আর সূর্যের লাল রং শহিদদের বুকের তাজা রক্তের চিহ্ন। আমাদের পতাকা বহন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের মহাবাণী । হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে এ পতাকাতলে সমবেত হয়, দেশকে ভালোবাসার ব্রত গ্রহণ করে । স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ সরকারের নির্দেশে যেকোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রত্যেক কর্মদিবসে সরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ও এর মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সব নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। এ পতাকার সম্মান ও গৌরব আমরা জীবন দিয়ে সমুন্নত রাখব । [বিঃ দ্রঃ এটি লেকচার গাইড বই থেকে সংগ্রহীত]

আরো পড়ুন ঃ স্বাস্থ্যই সম্পদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

জাতীয় পতাকা

উত্তর: জাতীয় পতাকা একটি দেশের ঐতিহ্য, মর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক। পৃথিবীর প্রতিটি স্বাধীন দেশের একটি জাতীয় পতাকা থাকে । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেরও তেমনই একটি নির্দিষ্ট নকশার পতাকা রয়েছে। আমাদের জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজ। এর নকশায় ঘন সবুজ রঙের ওপর লাল রঙের একটি বৃত্ত রয়েছে। পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০: ৬। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মূল নকশাকার শিবনারায়ণ দাশ। তবে তাঁর করা নকশায় লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙে আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্র স্থান পেয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্র সমাবেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে এ পতাকাই উত্তোলিত হয়েছিল। পরবর্তীতে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান মানচিত্রটিকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত নকশাটি করেন। বাংলাদেশের পতাকায় বিদ্যমান রং দুটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সবুজ রং আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিকে তুলে ধরে এবং দেশের তারুণ্য ও সজীবতার ইঙ্গিত বহন করে। অন্যদিকে, লাল রং নতুন দিনের সম্ভাবনার প্রতীক লাল সূর্যকে ইঙ্গিত করে। বাংলাদেশের পতাকা বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। এটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বহন করে চলেছে। জাতীয় দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। শোক দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। জাতীয় পতাকা আমাদের মাঝে দৃপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। এটি আমাদের অন্যতম গর্বের প্রতীক। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানো এবং এর সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা ধারণ করা প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব । [বিঃ দ্রঃ এটি পাঞ্জেরী গাইড বই থেকে সংগ্রহীত]

আরো পড়ুন ঃ শিক্ষাসফর | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url