অনুচ্ছেদঃ ইন্টারনেট | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ

শিক্ষার্থীরা নিচে “অতিথি পাখি” নিয়ে তোমাদের জন্য দুটি অনুচ্ছেদ সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি থেকে তোমার যে কোনো একটি পড়তে পারো চাইলে দুটিই পড়তে পারো

অনুচ্ছেদ ১ অনুচ্ছেদ ২

ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ রচনা Class : 5, 6, 7, 8, 9, 10 সকলের জন্য

ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ ১

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে ইন্টারনেট একটি প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যবহুল মাধ্যম। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট একটি বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় মাধ্যম। এটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক কার্যক্রম (যোগাযোগ) সম্পর্ক স্থাপন কার্যক্রম) । এই ইন্টারনেট কম্পিউটার তথা ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে পরিচালিত হয়। ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে চোখের পলকে সারা বিশ্বের সংবাদ, ছবি ও ভিডিও চিত্র আমাদের নিকট এসে পৌঁছে। ইন্টারনেটের সংবাদ পরিক্রমা বিধান সংবলিত নির্দেশাবলির মাধ্যমে আমরা খুব সহজে ও দ্রুত বিশ্বের যেকোনো দেশের সংবাদপত্র সমুহ পড়তে পারি। টেলিনেট সফটওয়্যার আমাদের দেশ বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে সাহায্য করে। ফাইল আদান প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশাবলি থাকার কারণে আমরা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল বা ডেটা আদান প্রদান করতে পারি। ইন্টারনেটে গল্প করা সংক্রান্ত নির্দেশাবলি থাকার কারণে আমরা যে কোনো স্থানে বসে আমাদের প্রিয়জনদের বা পরিজনদের সাথে গল্প করতে পারি। অতএব, আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সকল খুঁটিনাটি কাজ গুলো থেকে শুরু করে ব্যবসায় বাণিজ্য, ব্যাংক, বিমা, অফিসের কার্যক্রম, গবেষণা, প্রযুক্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমাধা করতে পারি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলাই ইতোমধ্যে ইন্টারনেট কর্মসূচির আওতায় এসে গেছে। ইন্টারনেট উন্নত জীবন ও বিশ্ব ব্যবস্থাপনায় একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অদূর ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের সুবিধা বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের নিকট পৌঁছাবে এবং মানুষের জীবন আরও সুখময় ও সমৃদ্ধ হবে।

[এই অনুচ্ছেদটি লেকচার গাইড থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে]

D O W N L O A D N O W

ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ ২

“ইন্টারনেট” শব্দটি ইন্টার নেটওয়ার্ক (Inter Network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কম্পিউটার সমূহের মধ্যে একটি আন্ত-সংযোগ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি কম্পিউটার একটি সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকে। সার্ভারের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি করে ঠিকানা থাকে। প্রযুক্তির ভাষায় এই ঠিকানাকে আই. পি. অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস বলে। এই আই. পি. অ্যাড্রেস ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার সার্ভারের সাথে সংযুক্ত অন্যান্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করে। ১৯৬০ এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি নেটওয়ার্ক (ARPANET) পরীক্ষামূলক ভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এ প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তখন থেকেই ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে, ১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডের সার্ন (CERN) এর বিজ্ঞানীগণ তাঁদের নিজেদের মধ্যে ব্যবহারের জন্য ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) উদ্ভাবন করেন যা ১৯৯১ সালে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমগ্র পৃথিবীকে একটি বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করেছে। আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তথ্য আদান-প্রদান, সংবাদপত্র পড়া, সামাজিক যোগাযোগ, পড়াশোনা, গবেষণা, টেলিভিশন দেখা, রেডিও শোনা, তথ্য সংগ্রহ তথা মানুষের পুরো জীবন ব্যবস্থাই হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট নির্ভর। ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের কর্মকাণ্ড সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। তবে ইন্টারনেটের অপব্যবহার কখনো কখনো সমাজে অস্থিরতাও সৃষ্টি করছে। নানা রকমের অপকর্মের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। তাই ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধ করে এটাকে মানবকল্যাণে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে হবে। 

[এই অনুচ্ছেদটি পাঞ্জেরী গাইড বই থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে]

D O W N L O A D N O W

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url