অনুচ্ছেদঃ বৈশাখী মেলা | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা
অনুচ্ছেদ সূচিপত্র ঃ
বৈশাখী মেলা
বৈশাখী মেলা নববর্ষের সর্বজনীন অনুষ্ঠানগুলোর অন্যতম। নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ, পহেলা বৈশাখ থেকে বাংলাদেশে ছোট-বড় অনেক মেলা শুরু হয় । স্থানীয় লোকেরাই এসব মেলার আয়োজন করে থাকে। মেলার স্থায়িত্বকাল সাধারণত এক থেকে সাত দিন। তবে কোথাও কোথাও এ মেলা সারা বৈশাখ মাস ধরে চলে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার নেকমর্দানে পহেলা বৈশাখে যে মেলা বসে, তা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এবং জাঁকজমকপূর্ণ মেলা। সাধারণত এ মেলা এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। উত্তরবঙ্গের এমন বস্তু নেই যা এ মেলায় পাওয়া যায় না। এ মেলাকে সর্বসাধারণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। নাচ, গান, নাগরদোলা প্রভৃতি মেলার হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে বিবেচিত। মেলার দিনগুলোতে ছেলে-বুড়ো সবার মাঝেই বিরাজ করে সাজ সাজ রব। বাংলাদেশের মেলাগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় এদেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী, যা বাঙালির ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বলে বিবেচিত। বৈশাখী মেলা বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিলনমেলা। এ মেলা সকলের প্রাণে এনে দেয় খুশির বন্যা, ধুয়ে মুছে দেয় সারা বছরের কর্মক্লান্তি ও মানসিক অশান্তি। আমরা নতুন করে বাঙালি ঐতিহ্য লালন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা লাভ করি । [বিঃ দ্রঃ এটি লেকচার গাইড বই থেকে সংগ্রহীত]
আরো পড়ুন ঃ একুশের বইমেলা | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা
বৈশাখি মেলা
উত্তর: বৈশাখি মেলা নববর্ষের সর্বজনীন অনুষ্ঠানগুলোর অন্যতম। নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা বসে। এ মেলা চলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। এক দিন থেকে শুরু করে মাসব্যাপী এ মেলা চলতে থাকে। নতুন বছরে মানুষের আনন্দ-অনুভূতির প্রকাশ ঘটে বৈশাখি মেলার মাধ্যমে। এটা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে প্রচলিত রয়েছে। আবহমানকাল থেকেই আমাদের দেশে বৈশাখি মেলা চলে আসছে। এ মেলা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে বলী খেলা, ঘোড় দৌড়, নৌকাবাইচ উল্লেখযোগ্য। বৈশাখি মেলা সাধারণত খোলা আকাশের নিচে বসে। প্রতিবছর রমনার বটমূলে বসে এ মেলার প্রভাতী আসর। এছাড়া গ্রামের হাটবাজারে, নদী তীরে, মন্দির প্রাঙ্গণে এ মেলা বসে। মেলা উপলক্ষ্যে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মানুষের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ করা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, নানা জাতের কুটিরশিল্প, খেলনাসহ হরেক রকমের পণ্যের সমাহার ঘটে এ মেলায়। এছাড়াও থাকে যাত্রা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাসসহ বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবারও পাওয়া যায় মেলায়। নতুনকে বরণ করার উদ্যেশ্যেই এ মেলার আয়োজন করা হয়। কোনো রকম ধর্মীয় চেতনা এ মেলায় পরিলক্ষিত হয় না। তাই এটি একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকলের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এতে মানুষের প্রগতিশীল চেতনা জাগ্রত হয়। তাই সব দিক থেকে এ মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা নতুন করে বাঙালি ঐতিহ্য লালন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা লাভ করি । [বিঃ দ্রঃ এটি পাঞ্জেরী গাইড বই থেকে সংগ্রহীত]
আরো পড়ুন ঃ শহিদ দিবস | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url