ভাবসম্প্রসারণঃ পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে

ভাবসম্প্রসারণঃ পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে

ভাবসম্প্রসারণ সূচিপত্র ঃ

ভাবসম্প্রসারণ ১ম
ভাবসম্প্রসারণ ২য়

পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে

মূলভাব ঃ কৃতী মানুষ তার জীবনের গতিময় পথ নিজেই সৃষ্টি করে নেয়। অপরের সৃষ্ট পথ তার জন্যে অনুসরণযোগ্য নয়। পৃথিবীতে আবির্ভূত মহাপুরুষগণ সবসময় নতুন পথের সন্ধান দিয়ে গেছেন।

সম্প্রসারিত ভাব ঃ নিজের সাধনা ও কর্মকুশলতার সহায়তায় মানুষকে এগিয়ে যেতে হয় নিজের পথের সন্ধান করে। উদ্যোগী পথিক তার গন্তব্যে পৌঁছার জন্যে নিজের পথের সৃষ্টি নিজেই করে থাকে। বাঁধাধরা পথে সফলতার সম্ভাবনা কম। সাধনার পথই পথিকের চলার উপযোগী হয়ে নতুন দিগন্তের সন্ধান দেয়। পথ তৈরি হয়েছে পথিকের অগ্রগমনের জন্য জন্য। যাত্রা যাতে সহজতর হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই পথের সৃষ্টি।

আরো পড়ুন ঃ দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপস্বরূপ

কিন্তু এ পথই যে জীবনের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে এমন নিশ্চয়তা থাকে না। জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পূর্ব প্রতিষ্ঠিত পথ উৎকৃষ্ট নয়। জীবনসন্ধানী পথিককে নিজের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্যে সাধনা করতে হয়। তাই তার পথ হয় স্বতন্ত্র। নিজের সাধনার দ্বারাই তা তৈরি । গতানুগতিক পথে চললে জীবনের প্রাপ্য সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই সে পথ পরিহার করে নতুন পথের খোঁজ করতে হয়। যে মানুষ নতুন পথের খোঁজ পায় তার পক্ষে জীবনকে অর্থপূর্ণ ও সফল করে তোলা সম্ভব হয়।

মন্তব্য ঃ নতুন পথের সন্ধান করে পথ তৈরি করা আবশ্যক। পথিকের স্বার্থেই পথ সৃষ্টি হয়ে জীবনে আনে সাফল্য।[বিঃদ্রঃ এটি পাঞ্জেরী গাইড বই থেকে সংগ্রহীত]

D O W N L O A D N O W

পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে

মূলভাব ঃ মানবসভ্যতার ইতিহাস বলে, মানব সম্প্রদায়ের পদচারণাই নব নব পথের জন্ম দিয়েছে। আগে থেকে পথ সৃষ্টি হয়ে থাকে নি বরং সৃষ্টিশীল মানুষ তার জীবনের গতি অক্ষুন্ন রাখতে নব নব পথের জন্ম দেন। ফলে পথ সৃষ্টি হয়েছে পথিকের মাধ্যমে।

আরো পড়ুন ঃ চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ

সম্প্রসারিত ভাব ঃ জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, “হাজার হাজার বছর ধরে আমি হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে”---- একথা বললেও সে পথ কিন্তু পৃথিবীতে তৈরি থাকে না। মানুষ প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে পদচিহ্ন রাখতে রাখতে এক সময় সৃষ্টি হয় পথের। পথ তৈরির ক্ষেত্রে পথের কোনো ভূমিকা থাকে না, এতে মানুষেরই ভূমিকা। কারণ, পথ তৈরিতে ষোলআনা কৃতিত্ব মানুষের, পথের নয়। পৃথিবীর জমিনে পথিক তার প্রয়োজনেই পথ সৃষ্টি করে নেয়। অর্থাৎ, পথকে আবিষ্কার করে। 

তেমনি পৃথিবীর যাবতীয় আবিষ্কার মানুষেরই, পূর্বে উপাদান হিসেবে ছিল কিন্তু মানুষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে করেছে সৃষ্টি, করেছে আবিষ্কার। পথ যেমন একদিনে সৃষ্টি হয় না, শত মানুষের প্রয়োজনে বার বার পদচারণা করতে করতে যেমন সৃষ্টি হয় পথের, তেমনি বহু মানুষের শ্রম, মেধা ও চেষ্টায় সৃষ্টি হয় নতুন নতুন উদ্ভাবনা, প্রয়োজনীয় আবিষ্কার। মানুষ তার প্রয়োজনে শ্বাপদসংকুল বন্ধুর জমিনকে খোদাই করে করে গড়ে তুলেছে পথ, সে পথ বেয়ে এসেছে সভ্যতা।

আরো পড়ুন ঃ নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে বড় করে তোলে

তেমনি শ্রম কর্তব্যনিষ্ঠা ও চেষ্টায় মানুষ গড়ে তুলেছে সুখ সমৃদ্ধ সভ্য জীবন। মানুষ যখনই কোনো সংকটে পড়েছে, তখনই মানুষের মনন ও শ্রম দিয়ে তা সমাধানের পথ বের করেছে। পথ বা উপায় কখনো এমনিতে সৃষ্টি হয় নি । মানুষকেই আগে পা বাড়াতে হয়েছে, সৃৃষ্টি হয়েছে উপায়। সুতরাং পথিক অগ্রগামী, পথ অনুগামী। 

মন্তব্য ঃ প্রয়োজনে মানুষ পথ সৃষ্টি করে। গন্তব্য নির্ধারিত হলে সেখানে পৌঁছাতে আমরা নতুন পথ আবিষ্কার করি। তাই লেখক বলেছেন, “পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।”[বিঃদ্রঃ এটি লেকচার গাইড থেকে সংগ্রহীত]

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url