ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি - তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
আজকের পোস্টে আমরা ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি - তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডায়াবেটিস একটি নীরব প্রাণঘাতী রোগ। ডায়াবেটিস হওয়ার কোন বয়স নেই যে কারো অর্থাৎ বয়স, স্থান ওজন ভেদে ডায়াবেটিস হতে পারে। অনেকেই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি - তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এই নিয়ে গুগলের কাছে জানতে চায়। তাই আজকে আমরা তাদের জন্য ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি - তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে সতর্ক হতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ ধৈর্য্য সহকারে পড়তে থাকুন।ডায়াবেটিস সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পুরো পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আজকের পোস্টে আমরা ডায়াবেটিস এর সকল গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে আর দেরি কেন চলুন শুরু করি মূল আলোচনা
ভূমিকা
আজকাল সবাই ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে সকলে পরিচিত। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগ কয় প্রকার এবং কয় ধরনের হয়ে থাকে তা অনেকেই জানে না তাই আজকে আমরা ডায়াবেটিস কয় ধরনের হয়ে থাকে তা জানাব। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। দুটি প্রধান ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছেঃ টাইপ 1 এবং টাইপ 2, সেইসাথে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস যা গর্ভাবস্থায় ঘটে।
টাইপ 1 ডায়াবেটিসঃ টাইপ ১ডায়াবেটিস হল একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার রোগ যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেমের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে ফেলে। এর ফলে ইনসুলিনের অভাব দেখা দেয়, যাহা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন। এটি সাধারণত শিশু এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে এটি যে কোনো বয়সে ঘটতে পারে।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসঃ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আমাদের শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন বা ব্যবহার করতে পারেনা ফলে দেহে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এটি সাধারণত ওজন বেড়ে গেলে বা অতিরিক্ত মোটা হলে এবং অনিয়ম খাদ্যাভ্যাসের মতো জীবনযাপন করলে এই ডায়াবেটিস ২ হয়ে থাকে।
তাহলে আমরা সকলেই ডায়াবেটিস কয় ধরনের হয়ে থাকে তা সম্পর্কে জানলাম। তবে আরেকটি ধরনের রয়েছে যাদের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থায় ঘটে এবং এটি হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। এটি উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যকে জন্য ক্ষতি কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
আমরা এখন ডায়াবেটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তাই সকলে ডায়াবেটিসের লক্ষণ জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি। ডায়াবেটিস এর লক্ষণ সমূহ।
- ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।
- রোগীদের বেশি পিপাসা লাগে এবং বেশি ক্ষুধা লাগা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া সত্ত্বেও অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া।
- সব সময় ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করা।
- তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীরা চোখে কম দেখে থাকে।
- চোখে ঝাপসা দেখা অর্থাৎ চোখে কম দেখা।
- শরীরে কোন স্থানে ক্ষত হলে বারবার ইনফেকশন হওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া তাছাড়া শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- শরীরে কোন জায়গায় ক্ষত হলে তা নিরাময় হতে অনেক সময় লাগা।
তাহলে আমরা ডায়াবেটিস এর লক্ষণ সমূহ জানতে পারলাম। তবে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের লক্ষণ প্রকাশ করে না ডায়াবেটিস টেস্টের মাধ্যমে তা নির্ণয় করা যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস এর গুরুত্ব পর্যায়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। যেমনঃ
- কার্ডিওভাসকুলার রোগ হয়
- কিডনি রোগ হওয়া
- স্নায়ুর ক্ষতি (নিউরোপ্যাথি) হতে পারে
- চোখের সমস্যা এবং সম্ভাব্য অন্ধত্ব হয়ে থাকে
- পায়ের সমস্যা, যা বিচ্ছেদ হতে পারে
- দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে
- ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়
- প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমতে থাকে
তাহলে আমরা ডায়াবেটিস এর গুরুত্ব পর্যায়ে যে রোগ গুলো হতে পারে তা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমার নিচে পাঠে ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি সম্পর্কে আলোচনা করব।
ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি
ডায়াবেটিস হলো জটিল অবস্থা যা বিভিন্ন জেনেটিক, পরিবেশগত এবং জীবনধারার কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস ১ এ সাধারণত আমাদের দেহের ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। এটি অনেকটা পারিবারিক জেনেটিক বা জিনের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া যাদের বংশে, মা-বাবা এবং রক্ত সম্পর্কেও আত্মীয়-স্ব ডায়াবেটিস থাকলে এ রোগ হয়ে থাকে। নিচে ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ গুলো তুলে ধরা হলো।
- যাদের স্থূলতা রয়েছে বা ওজন অনেক বেশি তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার প্রচুর আশঙ্কা রয়েছে।
- এছাড়া বংশের কারো ডায়াবেটিকস থেকে থাকলে পরবর্তী প্রজন্মে এটি হয়ে থাকে। অর্থাৎ যাদের মা বাবা এবং আত্মীয় স্বজনের ডায়াবেটিকস থাকলে হয়।
- অনেকে আছেন যারা কাজ করতে চান না অর্থাৎ শারীরিক কোন কাজ বা ব্যায়াম করেন না তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে।
- অনেকদিন যাবত স্টোরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ফলে এর রোগ হয়।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হতে পারে বিভিন্ন ধরনের হরমোন জনিত কারণে এটি হয়।
- এছাড়া দেহে উচ্চ-কোলেস্টেরল বা চর্বি, উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকলে হয়।
- তাহলে আমরা জানতে পারলাম ডায়াবেটিস হওয়ার কারণসমূহ। আরো জানব দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে।
তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
প্রিয় পাঠক ইতিপূর্বে আমরা ডায়াবেটিস এর লক্ষণ ও ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি এই দুটি বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি । এখন আমরা জানার চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে। ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক ও জটিল রোগব্যাধী এটা আমরা সকলেই জানি। অনেকেই ডায়াবেটিসকে নীরব প্রাণঘাতী রোগও বলে থাকেন।
আপনিও যদি তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এই রকম তথ্যের সন্ধানে এসে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের পোস্টে আমরা তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার দ্রুত উপায় বলে কিছু হয় না। আমরা ডায়াবেটিস সাধারণভাবে কিছু নিয়ম মেনে জীবনযাপনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ডায়াবেটিস হলে ভয় পাওয়া যাবে না বরং এর নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো অনুসরণ করে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায় রয়েছে যা এখন জানবো।
- প্রথমে বলবো স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখা। অতিরিক্ত ওজন হওয়া থেকে সাবধান হওয়া।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ সহ শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়া-কালাপ বজায় রাখতে কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা।
- ফল, শাকসবজি এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন এবং ওষুধ নেওয়া।
- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে একটি সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিন থেরাপির মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
- ডায়াবেটিস একটি জটিল অবস্থা যার জন্য সতর্ক ব্যবস্থাপনা এবং মনোযোগ প্রয়োজন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে বিভিন্ন খাবার, কার্যকলাপ এবং ওষুধ আপনার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
- সারাদিনে ছোট, সুষম খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- এছাড়া শস্য, ফল, শাকসবজি এবং লেবুর মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট গুলি রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি রোধ করে।
- চিনি যুক্ত সকল খাবার পরিহার করতে হবে। তবে কম পরিমাণে ডায়াবেটিসের মাত্রা বজায় রেখে খেতে হবে।
- আপনি খাবারে চর্বিহীন প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
- প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে খাবার খেতে হবে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- হাঁটা, জগিং, সাঁতার বা সাইকেল চালানোর মতো নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকুন।
- ওষুধ গ্রহণ করে থাকলে অবশ্যই নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী ওষুধগুলো খাবেন। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে মিনিমাম ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
এছাড়াও আরো অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো আমরা মেনে চলবো। তাহলে আমরা জানতে পারলাম ডায়াবেটিকস দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে। আপনারা আপনাদের জীবনযাত্রার মানকে পরিবর্তন করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তাই সকলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে উপরোক্ত উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন। ডায়াবেটিস একটি জটিল ব্যাধি এটি একেবারে নির্মূল করা যায় না এটিকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে হয়।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
প্রিয় পাঠক এতোক্ষণ ধরে আমরা তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এই নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানব ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত। আপনি যদি এই রকম তথ্যের সন্ধানে এসে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ধৈর্য্য সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেই ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় সেটি
সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনারি ধমনী রোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- সময়ের সাথে সাথে উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কিডনির ক্ষতি করতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের দিকে পরিচালিত করে এবং অবশেষে কিডনি ব্যর্থ হয়।
- দীর্ঘায়িত উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে ব্যথা,অসাড়তা এবং সংবেদন হ্রাস হতে পারে, বিশেষ করে হাতের অংশে।
- ডায়াবেটিস রেটিনার রক্তনালী গুলির ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে দৃষ্টি সমস্যা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে অন্ধত্ব হতে পারে।
- স্নায়ু ক্ষতি এবং পায়ে দুর্বল রক্ত সঞ্চালন পায়ের আলসার এবং সংক্রমণ হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি অঙ্গচ্ছেদ হতে পারে।
- ডায়াবেটিস ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ক্ষত নিরাময় সহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
- উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা উচ্চ রক্তচাপে অবদান রাখতে পারে, যা কার্ডিওভাসকুলার জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস হতাশা এবং উদ্বেগ সহ মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জের দিকে নিয়ে যেতে পারে। একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা পরিচালনা করা মানসিকভাবে ট্যাক্সিং হতে পারে।
- অত্যন্ত উচ্চ বা নিম্ন রক্তে শর্করার মাত্রা বিভ্রান্তি থেকে কোমা পর্যন্ত পরিবর্তিত মানসিক অবস্থার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই যৌন স্বাস্থ্য সমস্যা অনুভব করতে পারে, যার মধ্যে পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং মহিলাদের মধ্যে যৌন ইচ্ছা ও উত্তেজনা কমে যাওয়া।
- ডায়াবেটিস হলে উক্ত রোগগুলো বা সমস্যাগুলো হতে পারে।এখন পর্যন্ত আমরা ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে উপায় সম্পর্কে জেনেছি। এবার জানবো ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
প্রিয় পাঠক ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি যে তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ও ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় এই দুটি বিষয়ে। এখন আমরা জানব ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির অবশ্যই দৈনিক খাবারের তালিকা দেখে খাবার গ্রহণ করা অপরিহার্য। তাই আজকের পোস্টে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
আপনি যদি এই রকম তথ্যের সন্ধানে এসে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। একটি ডায়াবেটিক-বান্ধব খাদ্য কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ, পুষ্টি-ঘন খাবার বেছে নেওয়া এবং একটি সুষম খাদ্য বজায় রাখার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিচে খাদ্য তালিকাটি শেয়ার করা হলোঃ
- ডায়াবেটিস রোগীদের স্টার্চবিহীন সবজি খেতে হবে। যেমনঃ ব্রকলি,পালং শাক,ফুলকপি, জুচিনি, শসা, টমেটো ইত্যাদি খেতে পারেন।
- এছাড়া প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে।লেটুস,সুইস চার্ট , আরগুলা ইত্যাদি খেতে পারেন।
- ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই চর্বিবিহীন প্রোটিন খেতে হবে। গরুর মাংস চর্বি হীন খেতে হবে।
- সবজি এবং ফল
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। লাল বা বাদামী চাল, উদাহরণস্বরূপ, বা লাল ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। একটি উদাহরণ হিসাবে, ডিম, মাছ, মাংস, মটরশুটি এবং অন্যান্য লেবু, ডাল এবং অন্যান্য ধরণের বাদাম বিবেচনা করুন।
- দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন দুধ। উদাহরণ হিসেবে দই, ছোলা এবং পনির নিন।
- অনেক ধরণের মাখন, ঘি এবং তেল।
তাহলে আমরা জানতে পারলাম ডায়াবেটিস রোগীদের সামান্য কিছু খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনারা গুগলে সার্চ করেও জেনে নিতে পারবেন। গুগলে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা অনেক গুলো পোস্ট রয়েছে। তাছাড়া এক পোস্টের মধ্যে সবকিছু নিয়ে আলোচনা করতে গেলে হিজিবিজি হয়ে যায়। তাই আপনারা ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা টি গুগলে সার্চ করে জেনে নিবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন খাবার আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে কীভাবে প্রভাবিত করে তা দেখতে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অপরিহার্য। তাছাড়া আপনি একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা এবং পছন্দের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগত নির্দেশনা প্রদান করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয় শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টে আমরা ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি - তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেই সাথে আরো আলোচনা করেছি ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি, তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ে। ডায়াবেটিস হলো একটি জটিল রোগব্যাধি।
তাই এই ডায়াবেটিস থেকে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং অন্যদেরও সচেতন করতে হবে। ডায়াবেটিসের নিয়ম গুলো ফলো করে আপনার ডায়াবেটিস রোগটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। আশাকরি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনার যদি আজকের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
ma sha allha sobar jonno onak guruto puno post