জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ভাবসম্প্রসারণ | Pdf সহকারে
৩০০+ ভাবসম্প্রসারণ একসাথে দেখুন
১) জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর
মূলভাব ঃ ঈশ্বরকে পেতে হলে ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবকে ভালোবাসতে হবে। জীবকে ভালোবাসলে ঈশ্বরকে পাওয়ার জন্য অন্য কিছু না করলেও চলে।
সম্প্রসারিত ভাব ঃ ঈশ্বরের সৃষ্টি হলো জীব। জীবের মাঝেই ঈশ্বরের উপস্থিতি। ঈশ্বর তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। ঈশ্বরের সৃষ্টিকে যে ভালোবাসে, ঈশ্বরও তাকে ভালোবাসেন। তাই ঈশ্বর এ পৃথিবী সৃষ্টি করে সেই সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। তার সৃষ্টির বৈচিত্রের মধ্যেই তার নিত্য প্রকাশ ঘটেছে বলে তার সৃষ্টিকে ভালবাসলে তাকে ভালোবাসা হয়। ঈশ্বরকে পাওয়ার জন্য অনেক মানুষ ধর্ম কর্ম পালন করে থাকে। তারা ভাবে যে, শুধু ধর্ম কর্ম পালন করলেই বুঝি ঈশ্বরকে পাওয়া যাবে।
এ ধারণা থেকে এসব মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবের প্রতি ঔদাসীন্য প্রদর্শন করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে, ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবের প্রতি সেবামূলক মনোভাব যাদের মাঝে বিদ্যমান সেই সব মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টির প্রতি সম্মান দেখার ফলে ঈশ্বরের নৈকট্য লাভে অধিকতর সফল হয়। ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবের প্রতি সেবামূলক মনোভাব দেখিয়েও অন্যান্য ধর্ম কর্ম সম্পাদন করা যায়।
আরো পড়ুন ঃ আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট রচনা | বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ
মন্তব্য ঃ ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ করতে অবশ্যই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ জীবের প্রতি সেবামূলক মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে। ঈশ্বর তার সৃষ্টির যারা প্রেমিক তাদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই কৃপা প্রদর্শন করে থাকেন।
২) জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর
মূলভাব ঃ জীব ঈশ্বরের সৃষ্টি। জীবের মাঝেই ঈশ্বরের উপস্থিতি। ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। ঈশ্বরের সৃষ্টিকে যে ভালোবাসে, ঈশ্বরও তাকে ভালোবাসেন। তাই ঈশ্বরকে পেতে হলে ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবকেই ভালোবাসতে হবে।
সম্প্রসারিত ভাব ঃ ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করে সেই সৃষ্টির মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। তাঁর সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যেই তাঁর নিত্য প্রকাশ ঘটছে বলে তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসলে, তাঁকে ভালোবাসা হয়। সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। মানব ধর্মকে সামনে রেখে ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবের প্রতি মমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ঈশ্বরের নিকটে আস যায়। পথের যে কুকুর তার প্রতিও মায়া প্রদর্শন করা উচিত।
ঈশ্বরকে পাওয়ার জন্য অনেক মানুষ ধর্ম কর্ম পালন করে থাকে এই ভেবে যে, শুধু ধর্ম কর্ম পালন করলেই বুঝি ঈশ্বরকে পাওয়া যাবে। এ ধারণা থেকে এসব মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবের প্রতি ঔদাসীন্য প্রদর্শন করে থাকে। ধর্ম কর্ম অবশ্যই পালনীয়। তাই বলে জীবের প্রতি উদাসীন হলে চলবে না। এই বিশ্বের সকল গাছ, পালা, নদী, নক্ষত্র, জীবজন্তু, পশু, পাখি সবই ঈশ্বরের সৃষ্টি।
তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে সবসময় বিরাজমান থাকেন। তাই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে হলে আগে তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসতে হবে। আর ঈশ্বরের সৃষ্টিকে ভালোবাসা মানেই ঈশ্বরকে ভালোবাসা। এই প্রেক্ষিতে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” । কেননা সকল জীবের মাঝেই ঈশ্বর বিরাজমান।
আরো পড়ুন ঃ ভাবসম্প্রসারণঃ লোভে পাপ পাপে মৃত্যু
ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবকে অবহেলা, অবজ্ঞা বা অত্যাচার করে ঈশ্বরের প্রতি যতই আত্ম নিবেদন করা হোক না কেন, ঈশ্বরের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এ সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে যে, ঈশ্বরকে পেতে হলে আগে তাঁর সৃষ্ট জীবকে ভালোবাসতে হবে। প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবকে যিনি ভালোবাসেন, তিনিই একমাত্র ঈশ্বরের নৈকট্য লাভে সফল হয়।
সম্প্রসারিত ভাব ঃ ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ করতে অবশ্যই ঈশ্বরের সৃষ্ট জীবের প্রতি সেবামূলক মনোভাব প্রদর্শন করা উত্তম কাজ। মহাজগতে ঈশ্বরের সৃষ্টির মধ্যে যারা প্রেমিক তার তাদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই তিনি কৃপা প্রদর্শন করে থাকেন। সুতরাং বলা যায় জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর||
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url