গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাব সম্প্রসারণ
আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্যে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাবসম্প্রসারণ টি তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই যারা গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু এই ভাবসম্প্রসারণ টি পড়তে চাও তারা আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ো। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তাহলে চলো জেনে নেই গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাব সম্প্রসারণ টি
“গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাব সম্প্রসারণ”
মূলভাব ঃ মানুষকে তার কর্মের মধ্য দিয়ে গতি চঞ্চল জীবনের অধিকারী হয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হয়। নিষ্কর্মা ও অথর্ব মানুষ মৃততুল্য।
সম্প্রসারিত ভাব ঃ মানুষকে তার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করে যেতে হয়। স্বাধীন চিন্তা ও কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষকে এগিয়ে যেতে হয় সামনের পানে। মানুষ যে সৃষ্টির সেরা জীব, তার যে ক্ষমতা আছে, কর্মের মধ্যে দিয়ে মানুষকে তা প্রমাণ করতে হয়। মানুষের হাত কর্মীর হাত। মানুষ কেবল খেতে, পারতে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পৃথিবীতে আসেনি। তার ওপর রয়েছে অনেক দায় দায়িত্ব।
আরো পড়ুন ঃ অর্থই অনর্থের মূল ভাব সম্প্রসারণ
এ দায় দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে না পারলে তাকে জীবন যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি গায়ে মেখে বিপন্ন জীবন যাপন করতে হয় । সাফল্য লাভের পথে আলস্য এক বাধা। অলসতা যেন কোনোভাবেই মানুষকে পেয়ে না বসে। কারণ এ অলসতাই মানব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শ্রম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে জীবনের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে হবে মানুষকে। কর্মহীন জীবন স্থবির, স্থবিরতা মৃত্যুর অন্য নাম। অকর্মণ্য জীবন যাপন আসলে জীবন্মৃত থাকারই নামান্তর।
জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায় কর্মের মহোৎসবে যোগদানের মধ্য দিয়ে। সফল কর্মময় জীবনের অধিকারী যে মানুষ, মৃত্যুর পরও পৃথিবী তাকে মনে রাখে। কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকাই হচ্ছে মানুষের প্রকৃত বেঁচে থাকা। মানুষকে সবসময়ই মানবকল্যাণের কথা ভাবতে হবে এবং সেজন্য মানুষকে কাজ করেও যেতে হবে।
সংক্ষিপ্ত জীবন পরিসরে আলস্যকে আমল দিয়ে বসে থাকার অর্থ হচ্ছে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হওয়া। কাজ, কাজ আর কাজের মধ্যে দিয়েই জীবনকে ফুলে-ফলে বিকশিত করে তোলা যায়।
মন্তব্য ঃ কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে যে গতি আসে, সে গতিই মানব জীবনের ধর্ম। অলস কিংবা অকর্মণ্য জীবনযাপন মৃত্যুরই নামান্তর।
“গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাব সম্প্রসারণ”(২)
মূলভাব ঃ মানুষকে তার কর্মের মধ্য দিয়ে গতি চঞ্চল জীবনের অধিকারী হয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হয়। ব্যক্তি বা জাতি উভয়ের জন্যই স্থবিরতা ধ্বংস ডেকে আনে। গতিশীল এই পৃথিবীতে তাই গতিই জীবনের প্রতীক।
আরো পড়ুন ঃ ভাবসম্প্রসারণ তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
সম্প্রসারিত ভাব ঃ হাত গুটিয়ে বসে থাকা মানুষের কাজ নয়। পৃথিবীতে মানুষ এসেছে তার কর্মের মধ্য দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে। এজন্য মানুষকে কাজ করতে হয় নিরন্তর। চলার পথে সাহস ও অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। কোনো ভয়-ভীতি কিংবা অক্ষমতার দোহাই দিয়ে যে বসে থাকে, জীবন যুদ্ধে পরাজয় তার অনিবার্য। কারণ, কর্মই গতি, গতিই জীবন। যার গতি থেমে যায়, জীবনের চাকাও থেমে যায় তার।
এ স্থিতিই তার মৃত্যু। মানুষকে তার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য এবং জাতির জন্য আজীবন কাজ করে যেতে হয়। স্বাধীন চিন্তা ভাবনা ও কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষকে এগিয়ে যেতে হয় সামনের দিকে। মানুষ যে সৃষ্টির সেরা জীব, তার যে ক্ষমতা আছে কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষকে সেটা প্রমাণ করতে হয়। মানুষের হাত কর্মীর হাত। মানুষ কেবল খেতে, পরতে এবং বংশবৃদ্ধি করতে এই পৃথিবীতে আসেনি। তার ওপর রয়েছে অনেক দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এ দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করতে না পারলে জীবনযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি গায়ে মেখে বিপন্ন জীবনযাপন করতে হয় তাকে। এ গতিশীল জীবনে আলস্য যেন কোনোভাবেই মানুষকে পেয়ে না বসে। কারণ আলস্য মানবজীবনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শ্রম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে জীবনের জন্য সম্পদ সঞ্চয় করতে হবে মানুষকে। কর্মহীন জীবন স্তবির, আর সেই স্তবিরতা মৃত্যুর অন্য নাম। অকর্মন্য জীবন যাপন আসলে জীবন মৃত থাকারই আরেকনাম।
জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায় তার কর্মের মধ্য দিয়ে। সফল কর্মময় জীবনের অধিকারী যে মানুষ, মৃত্যুর পরও পৃথিবী তাকে মনে রাখে। কাজ, কাজ আর কাজের মধ্যে দিয়ে জীবনকে বিকশিত করে তোলা যায়। জীবনের জন্য সময় খুবই মূল্যবান। আর এই মূল্যবান সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সময়ের সাধ্য ব্যবহার করে মানুষ যদি জীবনকে, পৃথিবীকে কিছু দিতে না পারে, তাহলে মানবজন্মের সার্থকতা কোথায়?
আলোকিত জীবনের অধিকারী হতে হলে কর্মের মশাল জ্বালিয়ে এগিয়ে যেতে হবে অনেক দূরের পথ। বাধা আর প্রতিকূলতা, কষ্ট আর দুঃখকে জয় করতে হবে হাসিমুখে।
মন্তব্য ঃ মানুষ তার কর্মের মধ্য দিয়ে জীবনের প্রকৃত সুখ খুঁজে পায়। আর কর্মের মধ্য দিয়েই মানবজীবনের সফলতা আসে। তাই আলস্য আর অকর্মণ্য জীবনযাপন বাদ দিয়ে মানুষকে কর্মমুখী জীবন গড়ে তোলার অভ্যাস করতে হবে। কারণ আলস্য কিংবা অকর্মণ্য জীবনযাপন মৃত্যুরই নামান্তর।
আর্টিকেল নিয়ে শেষকথা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, "গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাবসম্প্রসারণ" টি আমরা উপের আলোচনা করেছি। ভাবসম্প্রসারণ পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই তোমরা তোমাদের পরীক্ষার জন্যে এই ভাবসম্প্রসারণ টি পড়ে নিতে পার। শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকের, "গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাবসম্প্রসারণ" টি তোমাদের কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে এবং আর্টিকেলটি তোমার বন্ধু বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করে দিবে যাতে করে তারাও এই "গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু ভাবসম্প্রসারণ" টি পড়ার সুযোগ পায়। পরবর্তী ভাবসম্প্রসারণ টি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url