আম খাওয়ার উপকারিতা কি? আম কেন খাবেন? জেনে নিন আমের উপকারিতা সম্পর্কে

আম খাওয়ার উপকারিতা কি?

চলে আসলো মধু মাস। ল্যাংড়া, ফজলি, মল্লিকা, অরুনা, গোপালভোগ, আম্র্রপালি, খিরসাপাত আর ও অনেক রকমের আমে বাজার সয়লাব। চাইলেই খেতে পারেন মজাদার এই আমগুলো। এই মজাদার আমগুলো খাওয়ার ফলে যেমন মনের তৃপ্তি মিটে যায় তেমনি এই মজাদার আমের উপকারিতা ও আছে অনেক। আম খাওয়ার ফলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মধ্যে যে সকল বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করব তা হলো আম কেন খাবেন? এবং আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

আমের ছবি

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে অনেক ইনফরমেটিভ। তাই আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়েন তাহলে আপনি আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন চলুন আম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র ঃআম খাওয়ার উপকারিতা কি? জেনে নিন আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে

ক্যান্সার একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগের নাম। কিন্তু ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য আমে আছে নানা রকম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আমের মধ্যে আছে কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, গ্যালিক অ্যাসিড, মিথাইল গ্যালেড নামের প্রায় ছয় টির মত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও লিউকেমিয়ার মতো মারাত্মক ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে

আমরা জানি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তনালী ব্লক হয়ে মস্তিস্কের স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত‌ আম খাওয়া উচিত কেননা আমে আছে ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন যা আমাদের দেহের রক্তের মধ্যে থাকা উচ্চমাত্রার ক্লোরেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ত্বক ভালো রাখতে

আম ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে এবং ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। শুধু তাই নয় আম আমাদের ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত আম খেতে পারেন।

ওজন কমাতে

আমে আছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান। তাই একটি আম খেলেই রোজকার ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তাছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার যা হজমে সহায়তা করে। সুতরাং, ওজন কমাতে আম খেতে পারেন।

লাভ ফ্রুট

আমরা জানি আম একটি সুস্বাদু ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সুস্বাদু ফল খেলে হৃদয়ে ভালোবসার জন্ম হয়। এজন্য এটিকে উন্নত বিশ্বে লাভ ফ্রুট বলে। সুতরাং মৌসুম থাকতেই প্রিয়জনকে বেশি বেশি আম উপহার দিয়ে মন জয় করে নিন।

অ্যালকালাইন ভারসাম্য

আমে আছে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড এবং সাইট্রিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো শরীরের অ্যালকালাইন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে । তাই অ্যালকালাইন ভারসাম্য ঠিক রাখতে নিয়মিত আম খেতে পারেন।

হজমের সমস্যা সমাধানে

খাবার খেতে তো সবার ভালোই লাগে ! কিন্তু খাবার ঠিক মতো হজম না হলেই মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আম খেতে পারেন কারণ আমে থাকা  এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে করে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও বাঁচা যায়।

রোগ প্রতিরোধে আম

ক্যারোটিনয়েড একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা সম্পূর্ণভাবে রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আমের মধ্যে পাওয়া যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যারোটিনয়েড যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত আম খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে

আম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। নিয়মিত আম খেলে স্মৃতিশক্তি সক্ষম থাকে। তাই যারা লেখাপড়া করছেন, তারা বেশি বেশি করে আম খেতে পারেন।

চোখের যত্নে

আম একটি উচ্চ প্রকাশমান খাদ্য যা কয়েকটি পুষ্টিমান উপাদান ধারণ করে। আমের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং রোগের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন সি মুক্ত রেডিকালকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং চোখের সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমে থাকা ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগ থেকেও রক্ষা করে। এছাড়া যারা ড্রাই আই সমস্যায় ভুগছেন, তারা আম খাওয়ার মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন।

আরো পড়ুন ঃ লেবুর 10 টি উপকারিতা ও অপকারিতা

হিট স্ট্রোক ঠেকাতে

অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাপ সংকোচনের সমস্যা থেকেই হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হিট স্ট্রোক হওয়ার দুইটা কারণ হলো ঃ ১ অতিরিক্ত উচ্চ তাপমাত্রা. ২ অপ্রয়োজনীয় গ্রহণ। তাই হিট স্ট্রোক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আম খেতে পারেন। আম  আমাদের ভেতরটা শীতল রাখে ও শরীরকে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। সুতরাং এই গরমে অপ্রয়োজনীয় পরিমানে গরম পানীয়, চা, কফি ইত্যাদি পান না করে নিয়মিত আম খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীর ও ঠন্ডা থাকবে এবং আপনার হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। 

আম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে শেষ কথাঃ

আজকের আর্টিকেলটিতে আম খাওয়ার ফলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি এবং আর্টিকেলটি পড়ে যদি  আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারাও আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার ড্রীম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url